অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস, কলকাতা: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ বা কার্যকর করা নিয়ে বড়ো খবর। সোমবারই আইন কার্যকর করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এরই মধ্যে নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
লোকসভা ভোটের আগেই দেশ জুড়ে চালু হয়ে গেল সিএএ। একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে সিএএ চালু হওয়ার কথা জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্র দফতরের সরকারি ওয়েবসাইটে জারি করা হল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিভিন্ন বিধি।
বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, পুরো রিপোর্ট দেখার পর কাগজ হাতে পেয়ে এ বিষয়ে মুখ খুলবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা অপেক্ষা করছিলাম সিএএ আইনটা আসলে কী করছে। এখনও নোটিফিকেশন পাইনি। আইনে কী বলা হয়েছে, পুরো রিপোর্ট দেখার পর আগামীকাল সভা থেকে সে নিয়ে ঘোষণা করব।’’ এ বিষয়ে তাঁর সংযোজন, “যদি কোনো বৈষম্য হয় সে জিনিস আমরা মানি না। সেটা ধর্ম বৈষম্য, বর্ণ বৈষম্য বা লিঙ্গ বৈষম্য যাই হোক না কেন।”
তাঁর কথায়, ‘‘নির্বাচন এলে কিছু একটা খাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে ওরা। ইতিমধ্যে কিছু সংবাদমাধ্যম দেখাতে শুরু করেছে, আজ রাতের মধ্যে না কি সিএএ চালু হবে। আমার কথা হল, ২০২০ সালে সিএএ পাশ হয়েছিল। তার পর চার বছর লেগে গেল। আজ নির্বাচনের দু’তিন দিন আগে সিএএ চালু করার প্রয়োজন হল? আসলে এটা রাজনৈতিক পরিকল্পনা।’’
মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, “আমি বিস্তারিত দেখার পর মঙ্গলবার বলব। তবে ক্যা দেখিয়ে এনআরসি নিয়ে এসে কারও, যারা এখানকার নাগরিক, তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয় আমরা কিন্তু চুপ থাকব না?”
প্রসঙ্গত, ভারতের তিনটি প্রতিবেশী দেশ থেকে ধর্মীয় কারণে নির্যাতিত হয়ে যারা ভারতে এসেছেন এবং ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন যে উদ্বাস্তুরা, তাদের ভারতীয় নাগরিকত্বের অধিকার দেওয়ার আইন হল নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, ২০১৯। এই তিন দেশ হল আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ। নাগরিকত্ব দেওয়া হবে এই তিন দেশ থেকে আসা ৬ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের। এই ছয় সম্প্রদায় হল – হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান।
Be First to Comment