অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার মুখ্য কমিশনার রাজীব কুমার জানিয়েছেন, এ বার ১৯ এপ্রিল থেকে সাত দফায় ভোটগ্রহণ হবে। ভোট গণনা হবে ৪ জুন। তার আগে ঘটে যাওয়া, রামমন্দির উদ্বোধন, দেশ জুড়ে সিএএ কার্যকরের মতো বিষয়গুলি যে ভোট দেওয়ার আগে জনমনকে প্রভাবিত করবে, তা বলাই বাহুল্য। পাশাপাশি, মূল্যবৃদ্ধি অথবা বেকারত্বের মতো চিরকালীন বিষয়গুলি তো থাকছেই।
নির্বাচন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করতে সব দলই নিজের নিজের মতো করে কৌশল তৈরি করতে শুরু করেছে। এ দিকে এমন অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলোর উপর জনসাধারণ ধারাবাহিক নজর রাখছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বিষয়গুলি জয়ের নিশ্চয়তা এনে দিতেও সহায়ক।
মূল্যবৃদ্ধি
প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সময়ে হোক বা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জমানা, লোকসভা ভোট মানেই মূল্যবৃদ্ধি একটা বড় ফ্যাক্টর। প্রতিটি রাজনৈতিক দলই মূল্যবৃদ্ধি কমানোর কথা বললেও অর্থনীতি এগিয়ে চলেছে নিজের পথ ধরেই। অনেকের মতে, মোদী সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে এ বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছিল। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নীতিগত সিদ্ধান্তেও তা বার বার প্রতিফলিত হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, মুদ্রাস্ফীতি স্থিতিশীল রাখার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে মোদী সরকার। সম্প্রতি দাম কমানো হয়েছে রান্নার গ্যাস, পেট্রোল-ডিজেলের মতো নিত্য ব্যবহৃত জ্বালানির। মূল্যস্ফীতি থেকে দরিদ্রদের স্বস্তি দিতে ৮০কোটি ভারতীয়দের বিনামূল্যে খাদ্যশস্য বিতরণ করেছে কেন্দ্র।
বেকারত্ব
প্রত্যেক ভোটেই বেকারত্বকে সবচেয়ে বড় ইস্যু হিসেবে দেখাতে চায় বিরোধীরা। তবে এটাকে কোন দল কী ভাবে ভোটে রূপান্তর করতে পারবে, সেটাই দেখার বিষয়। এটাকে বিরোধীদের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র বলা যেতে পারে, কিন্তু বেকারত্ব ভারতীয় নির্বাচনে কখনোই নির্ণায়ক ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়নি বলে মনে করেন অনেকেই।
ক্ষমতাসীন দল হোক বা বিরোধী দল, উভয়েই যুবকদের আকৃষ্ট করতে নতুন চাকরির প্রতিশ্রুতি দিতে পারে। ইতিমধ্যে কংগ্রেস প্রত্যেক যুবককে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মোদী সরকারও দিয়ে থাকে। বেশ কয়েক বছর ধরেই রোজগার মেলার মাধ্যমে কর্মসংস্থানের পদক্ষেপ নিয়েছে মোদী সরকার। এখন দেখার বিষয় কার কথায় মানুষ বেশি বিশ্বাস করে।
মহিলা
এ বারের নির্বাচনে মহিলারা একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হতে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এ বার মহিলা ভোটার বেশি বেড়েছে। কেন্দ্র হোক বা রাজ্য, ইতিমধ্যেই মহিলাদের জন্য অনেক স্কিম এনে ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে কাজ করেছে।
কেন্দ্র সরকারের পাশাপাশি, বিজেপি এবং অ-বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকারগুলিও নারী ক্ষমতায়নের উপর জোর দিচ্ছে। মহিলা সংরক্ষণ বিলও বিজেপির জন্য তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারে। অন্য দিকে, বিরোধী দলগুলোও মহিলা ভোটারদের আকৃষ্ট করতে অনেক প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
Be First to Comment