অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস: মাঙ্কি পক্স বা Mpox সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিমানবন্দর, বন্দর এবং বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সীমান্তে আগত আন্তর্জাতিক যাত্রীদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। মাঙ্কিপক্স লক্ষণ রয়েছে, এমন যাত্রীদের জন্য বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশ থেকে কোনো এমপক্সের ঘটনা পাওয়া যায়নি। মূল্যায়ন অনুসারে, দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণের সঙ্গে একটি বড় প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকিও বেশ কম। তবে সবরকমের প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। সমস্ত রাজ্যকে এমপক্স কেস পরিচালনা করার জন্য হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত রাখতে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই একজন কর্মকর্তার মন্তব্য উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, “এবারের ভাইরাসের স্ট্রেনটি ভিন্ন এবং এটি আরও ভাইরাল এবং সংক্রামক। কিন্তু বর্তমান মূল্যায়ন অনুসারে দেশে দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণের সঙ্গে একটি বড়সড় প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকি কম।”

প্রসঙ্গত, আফ্রিকায় দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পরেই মাঙ্কি পক্স নিয়ে গোটা বিশ্বে গত সপ্তাহে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। গত বুধবার সংস্থার তরফে ওই সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছিল। ২০২২ সালের পর এই নিয়ে দ্বিতীয় বার মাঙ্কি পক্স নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে হু।
লক্ষণ: চিকেন পক্সের মতো পক্সের ক্ষেত্রে কেবল গায়ে র্যাশ কিংবা ফুসকুড়ি বেরোয়। কিন্তু মাঙ্কি পক্সের ক্ষেত্রে সারা গায়ের পাশাপাশি, লসিকাবাহেও ছড়িয়ে পড়ে সংক্রমণ। এই ভাইরাসের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
কীভাবে সংক্রমণ: আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি থাকলে এই রোগে সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। যৌন সংসর্গ ছাড়াও শ্বাসনালি, ক্ষতস্থান, নাক, মুখ কিংবা চোখের মাধ্যমেও এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে সুস্থ ব্যক্তির দেহে। আক্রান্তের ব্যবহার করা পোশাক-পরিচ্ছদ থেকেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।




Be First to Comment