ইউসুফ পাঠান। সংগৃহীত ছবি
অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস, কলকাতা: টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে বহরমপুর থেকে প্রার্থী করল তৃণমূল। কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিনিধিত্ব করেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। এ বার এখনও প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করেনি কংগ্রেস। তবে কি, ইউসুফ পাঠান বনাম অধীররঞ্জন চৌধুরী সম্ভাব্য লড়াই না কি সিপিএমকে এই আসনটি ছেড়ে দেবে কংগ্রেস, তা নিয়েই চলছে জোর চর্চা।
ইউসুফ পাঠান গুজরাতের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলেছেন। একসময় আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলতেন তিনি। তাঁর ভাই ইরফান পাঠানও জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন তারকা। লোকসভা ভোটে ইউসুফকে প্রার্থী করে বড়োসড়ো চমক দিল তৃণমূল। এত দিন সম্ভাব্য প্রার্থীতালিকা নিয়ে অনেকের নাম শোনা গেলেও ইউসুফ পাঠানের নাম কেউ শুনেছেন বলে মনে হয় না। স্বাভাবিক ভাবেই বহরমপুরে তাঁকে প্রার্থী করে কংগ্রেসকে সুষ্পষ্ট বার্তা দিল তৃণমূল।
বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনার প্রাথমিক পর্বে অনুমান করা হচ্ছিল, তৃণমূল হয়তো বহরমপুর আসনটি ছেড়ে দিতে পারে কংগ্রেসকে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় জোটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়ার পর থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল এই আসনে কোনো জনপ্রিয় মুখকে ময়দানে নামাতে পারে রাজ্য়ের শাসকদল।
তৃণমূল সূত্রে খবর, রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১০-১২টি আসন দাবি করেছিল কংগ্রেস। সেই জায়গায় বড়জোর দু’টি আসন ছাড়তে আগ্রহ দেখিয়েছিল শাসক দল। এর মধ্যে দু’টি যে বহরমপুর এবং মালদহ দক্ষিণ হতে পারত, সেটাও বেশ স্পষ্ট। কিন্তু কংগ্রেস হাইকম্যান্ড এ ব্যাপারে ততটা অনাগ্রহ না দেখালেও, শোনা যায় অধীরের আপত্তিতেই বাংলায় ইন্ডিয়া জোটে রাজি হয়নি তৃণমূল। সে কারণেই হয়তো বহরমপুরে ইউসুফকে দাঁড় করিয়ে অধীরের প্রতি নিজেদের অবস্থান আরও স্পষ্ট করল তৃণমূল।
তা ছাড়া ইউসুফ পাঠান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিজের রাজ্য গুজরাতের বাসিন্দা। ফলে তাঁকে প্রার্থী করার মধ্যে বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে বলেও ধারণা রাজনৈতিক মহলের।
ইউসুফ পাঠান অবশ্য বলেছেন, “আমি প্রায় ১২ বছর ধরে দিদিকে চিনি। অভিষেকের সঙ্গে সদ্য আলাপ হয়েছে। আমাকে তৃণমূলের প্রার্থী করায় কৃতজ্ঞ।” এখন দেখার, অধীর গড় হিসেবে পরিচিত বহরমপুরে ইউসুফকে সামনে রেখে কতটা বাজিমাত করতে পারে তৃণমূল।
Be First to Comment