Press "Enter" to skip to content

মহুয়া মৈত্রকে আবারও ইডির তলব! এ বার যাবেন কি?

মহুয়া মৈত্র। প্রতীকী ছবি

অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস, কলকাতা: বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে আবারও সমন পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ইডি সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামী ১১ মার্চ তলব করা হয়েছে তাঁকে। বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের মামলাতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন অফিসারেরা। এর আগে গত মাসেও দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজির হওয়ার জন্য তলব করা হয়েছিল। কিন্তু সেই তলবে তিনি সাড়া দেননি।

টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছিল মহুয়ার বিরুদ্ধে। সংসদে প্রশ্ন বিতর্কেই তাঁর বিরুদ্ধে বিদেশি মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। এর আগে ১৯ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজির হওয়ার জন্য তলব করা হয়েছিল মহুয়াকে। বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের মামলাতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল ইডি।

সেবার অবশ্য তিনি হাজিরা দেননি। তিন সপ্তাহ সময় চেয়ে নিয়েছিলেন। ইডি সূত্রে খবর, বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনে মহুয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। তদন্তকারী অফিসারদের নজরে বিদেশি মুদ্রা লেনদেনের কয়েকটি ঘটনা রয়েছে। একটি নন-রেসিডেন্ট এক্সটারনাল (এনআরই) অ্যাকাউন্টের লেনদেনও তাঁদের নজরে রয়েছে। এ বার ১১ মার্চ মহুয়াকে দেখা করতে বলল ইডি।

ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ফেমা বিধানের অধীনে মহুয়ার বিবৃতি রেকর্ড করা হবে। এক নন-রেসিডেন্ট এক্সটার্নাল অ্যাকাউন্ট, অর্থাৎ এক অনাবাসী ভারতীয়র বিদেশে থাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে তাঁর লেনদেন কেন্দ্রীয় সংস্থার স্ক্যানারে রয়েছে। সেই সঙ্গে আরও কয়েকটি বিদেশ থেকে পাঠানো অর্থ রেমিটেন্স এবং তহবিল স্থানান্তরের বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন কাণ্ডে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে মহুয়া মৈত্রকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল লোকসভায় প্রশ্ন করার জন্য তিনি নাকি শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে ঘুষ বাবদ নগদ ও নানা ধরনের উপহার নিয়েছেন। বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এই ব্যাপারে প্রথম সরব হন। তারপর এই বিষয় নিয়ে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ চলে সমান তালে। অবশেষে এথিক্স কমিটির সুপারিশের পর সাংসদ পদ চলে যায় মহুয়ার। এই ইস্যুতে এখনও আদালতে মামলা চলছে।

More from দেশMore posts in দেশ »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *