অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস: লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলোও ঝাঁপ দিয়েছে ভোট প্রচারে। প্রার্থীতালিকা ঘোষণা থেকে শুরু করে মিটিং-মিছিল সবই চলছে নিজের নিজের মতো। সাত দফায় অনুষ্ঠিত হবে এ বারের লোকসভা ভোট। এরই মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলির আয় নিয়ে অনেক কথাই শোনা যাচ্ছে। আর ইলেকটোরাল বন্ড নিয়ে তো বিতর্কের শেষ নেই। এখন জেনে নেওয়া যাক, রাজনৈতিক দলগুলিকেও কি ট্যাক্স দিতে হয়?
আয়কর আইনের ১৩এ ধারার অধীনে, রাজনৈতিক দলগুলিকে আয়ের উপর ১০০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে তার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড পূরণ করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আয়কর আইন নিয়ে এ ভাবে এক কথায় সব বলে দেওয়া যায় না। কিন্তু আয়কর আইনে দেওয়া শর্ত পূরণ না করলে কর দিতে হবে। এমনিতে, রাজনৈতিক দলগুলোকে আয়কর ছাড় দেওয়া হয়েছে।
আইন অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলগুলো কোনো ধরনের বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারে না। এ ছাড়া আর্থিক ভাবে লাভবান হতে পারে, এমন কোনো কাজই করতে পারে না। কোনো রাজনৈতিক দলের আয় না থাকলে কর দিতে হতো না। রাজনৈতিক দলের প্রাপ্ত অনুদান একই উদ্দেশ্যে ব্যয় করা হয়। রাজনৈতিক দলগুলি অনুদান হিসেবে পাওয়া টাকা ব্যাঙ্কে জমা দিতে পারে। সেই টাকায় সম্পত্তি কিনতে পারেন। অথবা দলের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্য কিছু কাজ করতে পারা যায় ওই টাকায়।

বলে রাখা ভালো, সমস্ত রাজনৈতিক দলকে স্বীকৃত ভবিষ্যনিধি তহবিলের ধারা ২৯এ-র অধীনে রেজিস্টার্ড করতে হয়। এর পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলিকেও হিসাব-নিকাশ রাখতে হয়। যেটিতে সে সমস্ত লেনদেনের হিসাব রাখে। এর সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলি ২০ হাজার টাকারও বেশি অনুদান হিসাবে পেতে পারে।
এর জন্য পুরোপুরি হিসাব দিতে হবে। যিনি দিয়েছেন তাঁর নাম লিখতে হবে এবং ঠিকানাও লিখতে হবে। নির্বাচনের সময় দলটিকে নির্বাচন কমিশন ও কর বিভাগকে সম্পূর্ণ রিপোর্ট দিতে হয়। যেখানে ২০ হাজার টাকার উপরে সমস্ত অনুদান উল্লেখ করতে হবে। যে রাজনৈতিক দল এই রিপোর্ট দিতে ব্যর্থ হবে, সে আর আয়কর আইনের ১৩এ ধারার অধীনে ছাড় পায় না এবং এর জন্য কর দিতে হয়।




Be First to Comment