অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে বেআইনি কয়লা খননের অভিযোগ। সীমান্ত টপকে ভারতে ঢুকে কয়লা উত্তোলন এবং তার পর সেই কয়লা বাংলাদেশে পাচারের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য।
মেঘালয়ের দক্ষিণ পশ্চিম খাসি পাহাড় অঞ্চলে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে বেআইনি কয়লা খনন ও পাচারের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) বিপি কাটেকের নেতৃত্বাধীন একটি কমিটির ২৫তম অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রানিকর সিভিল সাব-ডিভিশনের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার (এডিসি) জানিয়েছেন, এই অঞ্চলে কয়েকটি পরিত্যক্ত কয়লা খনি রয়েছে, যেগুলো সহজেই আবার চালু করা সম্ভব এবং সেগুলোতেই বাংলাদেশি কয়লা চোরাকারবারিরা কার্যকলাপ চালাচ্ছে। রানিকর সিভিল সাব-ডিভিশনটি বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে অবস্থিত। এডিসির মতে, কয়লা চুরির সঙ্গে বাংলাদেশি নাগরিকদের জড়িত থাকার অভিযোগে আগেও বেশ কয়েকটি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
এডিসি আরও জানান, এই কয়লা খনি এলাকা অত্যন্ত প্রত্যন্ত এবং বিস্তৃত হওয়ার কারণে নিয়মিত নজরদারি চালানো খুবই কঠিন। অঞ্চলটি সাধারণ যানবাহনের জন্য অনুপযোগী হওয়ায় অবৈধ খনন কার্যকলাপ সহজে নজরে আসে না। তিনি সুপারিশ করেছেন যে, পরিত্যক্ত খনিগুলোর প্রবেশপথ সম্পূর্ণভাবে সিল করে দেওয়া উচিত যাতে বেআইনি খনন পুনরায় শুরু করা না যায়। এ ক্ষেত্রে তিনি বিস্ফোরক ব্যবহার করে খনিগুলির প্রবেশপথ বন্ধ করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত সহায়তা ও লজিস্টিক সাপোর্ট চেয়েছেন।
এডিসি আরও বলেন, কয়লা খনি অঞ্চল সংলগ্ন থানাগুলোকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া উচিত। তিনি পুলিশের উপর ব্যক্তিগত দায়িত্ব আরোপ করার পরামর্শ দেন, যাতে বেআইনি খনন বন্ধ হয় এবং এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বেআইনি কয়লা খনি কার্যকলাপে পুলিশ এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদেরও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
পাশাপাশি, এই কমিটি রাজ্য সরকারকে বেআইনি কয়লা পরিবহণ বন্ধে অবিলম্বে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছে। কমিটি আরো পরামর্শ দিয়েছে যে একটি স্মার্ট চেকগেট তৈরির জন্য উপযুক্ত জমি চিহ্নিত করা, নিয়মিত সমীক্ষা চালানো এবং সংশ্লিষ্ট এলাকা নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করা প্রয়োজন।
Be First to Comment