Press "Enter" to skip to content

প্রয়াত অভিনেত্রী অঞ্জনা ভৌমিক

অঞ্জনা ভৌমিক। সংগৃহীত ছবি

কলকাতা: প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেত্রী অঞ্জনা ভৌমিক। শনিবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার এক হাসপাতালে সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।

দীর্ঘদিন ধরেই বয়সজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন অঞ্জনা। শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। শুক্রবার গভীর রাতে হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আনা হয় অঞ্জনা ভৌমিককে। আইসিইউতে ডা. জয়দীপ ঘোষের তত্ত্বাবধানে ভর্তি ছিলেন তিনি। এ দিন সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।

১৯৪৪ সালে কোচবিহারে জন্ম। তখন অবশ্য অঞ্জনা নয়, তাঁর নাম ছিল আরতি। সুনীতি অ্যাকাডেমি স্কুলের মেধাবী ছাত্রী আরতির সমান আকর্ষণ ও আগ্রহ ছিল খেলাধূলাতেও। বাবার আদরের বাবলি উত্তরবঙ্গে স্কুলের পাট চুকিয়ে চলে আসেন কলকাতায়। ভর্তি হন সরোজিনী নায়ডু কলেজে। ২০ বছর বয়সে পীযূষ বসুর ছবি ‘অনুষ্টুপ ছন্দ’-তে অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি। অভিনয় জীবন শুরুর আগে পাল্টে যায় নামও। আরতি থেকে হয়ে যান অঞ্জনা। টালিগঞ্জ পেয়ে যায় তার নতুন নায়িকা অঞ্জনা ভৌমিককে।

সিনেমার পর্দায় উত্তম কুমারের সঙ্গে তাঁর রসায়ন ছিল জমজমাট। ‘থানা থেকে আসছি’, ‘চৌরঙ্গী’, ‘নায়িকা সংবাদ’, ‘কখনও মেঘ’ ছবিতে উত্তম কুমারের নায়িকা ছিলেন তিনি। পরে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘মহেশ্বেতা’ ছবিতে অঞ্জনা ভৌমিকের অভিনয় প্রশংসিত হয়। তাঁর অভিনীত ‘নিশিবাসর’, ‘সুখে থাকো’, ‘দিবারাত্রির কাব্য’, ‘শুক সারি’ ছবির সাফল্যের অন্যতম বুনিয়াদ ছিল অঞ্জনার দৃপ্ত অভিনয়। যদিও বহু বছর অভিনয় দুনিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন অঞ্জনা ভৌমিক। তবু দর্শক তাঁকে ভোলেননি।

ব্যক্তিগত জীবনে অনিল শর্মা নামের একজন নৌবাহিনীর কর্মকর্তার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হয়েছিলেন তিনি। তাঁদেরই দুই মেয়ে নীলাঞ্জনা ও চন্দনা।

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *