Press "Enter" to skip to content

বেসরকারিকরণের বিরোধিতা-সহ একাধিক দাবি, ৬টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের ডাকা ধর্মঘটে উৎপাদন ব্যাহত আসানসোল- রানিগঞ্জ খনি অঞ্চলে

একাধিক দাবিতে ধর্মঘট। নিজস্ব ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, আসানসোল: কয়লা শিল্পে বেসরকারিকরণের বিরোধিতা-সহ একাধিক দাবিতে শুক্রবার সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি বা জ্যাক।

এই জ্যাকে রয়েছে ছয়টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন সিটু, আইটাক, ইনটাক, এইচএমএস, টিইউসিসি ও ইউটিইউসি।

এ দিনের ধর্মঘটে বেশ কিছুটা হলেও প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের ইসিএলের আসানসোল রানিগঞ্জ কয়লাখনি এলাকায়। একই প্রভাব পড়েছে পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডের ইসিএলের কোলিয়ারি অঞ্চলে। জ্যাকের পক্ষ থেকে থেকে দাবি করা হয়েছে, এ দিনের ধর্মঘটে ইসিএলের বিভিন্ন এরিয়ার কয়লাখনিতে প্রভাব অনেকটাই পড়েছে। ব্যাহত হয়েছে কয়লা উৎপাদনও।

সিটু নেতা তথা ইসিএলের জেসিসি সদস্য সুজিত ভট্টাচার্য এ দিন এই প্রসঙ্গে বলেন, ঝাড়খণ্ডে রাজমহল, মগমা ও চিত্রা মাইনস্স-হ সবমিলিয়ে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে এ দিন ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে। পাশাপাশি এই রাজ্যের ইসিএলের সোদপুর কুনুস্তোরিয়া-সহ অন্যান্য এরিয়ার কয়লাখনিতেও প্রভাব ছিল চোখে পড়ার মতো। উৎপাদনের ক্ষেত্রে ভালো প্রভাব পড়েছে।

বাকি ছয়টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বলেন, “আমাদের ইউনিয়নের বাইরে যে সব কর্মীরা আছেন, তাঁরা কাজে ছিলেন বলে, ১০০ শতাংশ ধর্মঘট সফল করানো যায়নি। আমরা কাউকে জোর করিনি।”

তবে ইসিএলের তরফে দাবি করা হয়েছে, ধর্মঘটের কয়লাখনিতে তেমনটা পড়েনি।

এ দিকে, এদিনের ধর্মঘট অসংগঠিত ক্ষেত্রেও ডাকা হয়েছিল। এক্ষেত্রে এই শিল্পাঞ্চলে তেমন প্রভাব ছিল না।

More from শিল্প-বাণিজ্যMore posts in শিল্প-বাণিজ্য »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *