অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস: ভারতীয় শেয়ারবাজার মঙ্গলবার এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়। সেনসেক্স প্রথমবারের মতো ৮৫,০০০ পয়েন্ট অতিক্রম করে, এবং নিফটি ৫০ সূচক সর্বোচ্চ রেকর্ড ২৫,৯৭১ পয়েন্টে পৌঁছায়। দিনের শুরুতে সেনসেক্স এবং নিফটি উভয়েই পতনের সঙ্গে খোলা হলেও, পরে বাজারে শক্তিশালী পুনরুদ্ধার হয় এবং এই ঐতিহাসিক মাইলফলক তৈরি হয়।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) প্রি-ওপেনিং সেশনে সেনসেক্স ৬৭.৮৮ পয়েন্ট কমে এবং নিফটি ১৭.৬০ পয়েন্ট কমে লেনদেন শুরু করে। সকাল ৯:১৫ নাগাদ সেনসেক্স ১২৯.৩৪ পয়েন্ট কমে ৮৪,৭৯৯.২৭-এ এবং নিফটি ২৫,৯২২.৭০ পয়েন্টে অবস্থান করছিল। তবে, চিন ও অন্যান্য এশিয়ান বাজার থেকে ইতিবাচক সংকেত পাওয়ার পর ভারতীয় বাজার দ্রুত পুনরুদ্ধার হয় এবং নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যায়।
আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব
বাজার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চিনসহ অন্যান্য এশিয়ান বাজারের ইতিবাচক পারফরম্যান্স ভারতীয় বাজারকে প্রভাবিত করেছে। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়েছে এবং বাজারে ক্রয়চাপ বাড়তে শুরু করে, যা সেনসেক্স এবং নিফটির এই উত্থানের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশ্ব অর্থনীতির সান্ত্বনামূলক পরিস্থিতিও বিনিয়োগকারীদের ইতিবাচক মনোভাবের কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

বিনিয়োগকারীদের জন্য করণীয়
বাজারের এই ঊর্ধ্বগতি বিনিয়োগকারীদের জন্য আশাব্যঞ্জক হলেও কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। বাজারের এমন রেকর্ড স্তরে পৌঁছানো অনেক সময় অতিরিক্ত মূল্যায়ন ও মুনাফা তোলার সুযোগ তৈরি করে, যা অস্থিরতার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের আবেগের বশে তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ পরিকল্পনা করা উচিত। বিনিয়োগের সময় স্টকের সম্ভাবনা ও বর্তমান মূল্যায়ন যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ।
দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে ফোকাস: বাজারের ঊর্ধ্বগতির কারণে হঠাৎ বড় মুনাফার প্রত্যাশা না করে দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য নিয়ে বিনিয়োগ করা সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে।
বিনিয়োগের বৈচিত্র্য: বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব। একক ক্ষেত্রে বিনিয়োগের ঝুঁকি বেশি হতে পারে, তাই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য আনার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
মুনাফা সংরক্ষণ: যারা ইতিমধ্যেই উল্লেখযোগ্য মুনাফা অর্জন করেছেন, তাদের জন্য এখন কিছু মুনাফা তুলে নেওয়া উপযুক্ত হতে পারে। বিশেষ করে যারা ছোট সময়ের জন্য বিনিয়োগ করেছেন, তারা মুনাফা সংরক্ষণে পদক্ষেপ নিতে পারেন।
ম্যাক্রো ইকোনমিক ফ্যাক্টর পর্যবেক্ষণ: মুদ্রাস্ফীতি, সুদের হার এবং আন্তর্জাতিক বাজারের ওঠাপড়ার বিষয়গুলোর উপর নজর রাখা জরুরি। বাজারের বর্তমান উচ্চতা স্থায়ী নাও হতে পারে, তাই পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।বাজারের এই ঊর্ধ্বগতি বিনিয়োগকারীদের জন্য ইতিবাচক হলেও, ভবিষ্যতের জন্য সতর্কতার সাথে বিনিয়োগ কৌশল নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাজারের এই ঊর্ধ্বগতি বিনিয়োগকারীদের জন্য ইতিবাচক হলেও, ভবিষ্যতের জন্য সতর্কতার সঙ্গে বিনিয়োগ কৌশল নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।




Be First to Comment