বার্নপুর : সেইল আইএসপির বা বার্নপুর ইস্কো কারখানায় দ্বিতীয় পর্যায়ের সম্প্রসারণের কাজ শুরু হতে চলেছে।
সেই কাজে সবার আগে বার্নপুরের বাসিন্দাদেরকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ঠিকা কর্মী হিসেবে নিয়োগ করতে হবে।
এই দাবিকে সামনে রেখে শুক্রবার আসানসোল পুরনিগমের বার্নপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর অশোক রুদ্রর নেতৃত্বে অন্য কাউন্সিলর, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থক এবং বেকার যুবক-যুবতীরা কারখানার সুরক্ষা বা সেফটি ট্রেনিং সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ দেখান।
নতুন কর্মীদের মেডিকেল ফিট করার জন্য এই সেফটি ট্রেনিং সেন্টার থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সেই কাজও এদিন তারা বন্ধ করে দেন ।

কাউন্সিলর এই প্রসঙ্গে বলেন, প্রায় ৩৫ হাজার কোটি টাকায় বার্নপুরের ইস্কো কারখানার দ্বিতীয় পর্যায়ের সম্প্রসারণ হতে চলেছে। এই সম্প্রসারণের কাজে প্রাথমিক ভাবে প্রায় ১৫ হাজার ঠিকা কর্মীর দরকার। ইস্কে কর্তৃপক্ষ বার্নপুরের সমস্ত কাউন্সিলরদের নিয়ে অনেক আগে বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকে ইস্কো কারখানা কতৃপক্ষ বলেছিলেন, প্রয়োজন মতো দরকার হলে স্থানীয় বাসিন্দাদেরকে কর্মী হিসেবে আগে নিয়োগ করা হবে।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, আমরা জানতে পেরেছি ইতিমধ্যেই প্রায় দেড় হাজার ঠিকা কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। এরমধ্যে সামান্য কয়েকজনই স্থানীয় বাসিন্দা। বাকিদেরকে উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড এমনকি উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে আনা হয়েছে। অথচ এই ধরনের সাধারণ কাজ করার জন্য অদক্ষ কর্মী বার্নপুরেই পাওয়া যাবে।
তা যদি না পাওয়া যায়, তাহলে আসানসোল শিল্পাঞ্চল বা বাংলার অন্য এলাকা থেকে নেওয়া যেতে পারে।
তিনি আরো বলেন, এছাড়া আমরা আরেকটি দাবি জানিয়েছি তা হলো স্টীল অথরিটি অফ ইন্ডিয়া বা সেইলের দুর্গাপুর, বোকারো, রাউরকেল্লা সহ সমস্ত ইস্পাত কারখানা গুলিতে ঠিকা কর্মীদের যে হারে মজুরি দেওয়া হয় তার থেকে অন্তত ৫ হাজার কম টাকা করে এখানে দেওয়া হয়। তাই সর্বত্র সমান মজুরির দাবি জানিয়েছে। যতক্ষণ না সেইল বা ইস্কো কারখানা কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবি না মানছেন, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে বলে জানান কাউন্সিলর।
তবে, তৃনমুল কংগ্রেসের এদিনের আন্দোলনের দাবি নিয়ে ইস্কো কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নি।




Be First to Comment