কলকাতা: কোল ইন্ডিয়া (Coal India)-র সাবসিডিয়ারি ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেডের (ECL) ২,২০০ কোটি টাকার লোকসান মেটানোর লক্ষ্যে এগোচ্ছে। এতে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের মধ্যে ফের ডিভিডেন্ড তালিকায় ফিরতে পারে বলে আশাবাদী সংস্থা। কোল ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান পি এম প্রসাদ এই তথ্য জানিয়েছেন। কোল ইন্ডিয়ার ৫০তম প্রতিষ্ঠা দিবসে প্রসাদ জানান যে ভারত কোকিং কোল লিমিটেড-ও আগে লোকসানে ভুগছিল, তবে ওই সাবসিডিয়ারিও ইতিমধ্যেই ডিভিডেন্ড তালিকায় ফিরে এসেছে। সেই পথ ধরে ইসিএল-ও একই সাফল্য অর্জন করবে বলে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
এই বছর ৫৪ মিলিয়ন টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ইসিএল ভালো পারফরমেন্স করছে বলে জানিয়েছেন প্রসাদ। তিনি বলেন, “এই অর্থবর্ষে আমরা ইসিএলের মোট লোকসানের দুই-তৃতীয়াংশ মেটানোর পরিকল্পনা করছি এবং বাকি অংশ পরের অর্থবর্ষে মিটিয়ে ডিভিডেন্ড তালিকায় পুনরায় প্রবেশ করবে।” তবে বর্ষার প্রভাবের কারণে আগামী কয়েক মাসে উৎপাদন বৃদ্ধি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
কোল ইন্ডিয়া মার্চের মধ্যে ৮২৩ মিলিয়ন টন উৎপাদন করতে সক্ষম হবে বলে আশা করছে। যদিও তা ৮৩৮ মিলিয়ন টন লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে প্রায় ১৫ মিলিয়ন টন কম হবে বলে অনুমান। ২০৩০ সালের মধ্যে কোল ইন্ডিয়া নিজের আন্ডারগ্রাউন্ড মাইনিং উৎপাদন ৩৪ মিলিয়ন টন থেকে বাড়িয়ে ৭০ মিলিয়ন টনে নিয়ে যেতে চায়।
প্রসাদ আরও বলেন, উৎপাদন ৫০-৬০ মিলিয়ন টন বাড়ানো গেলে তাপীয় কয়লার আমদানি উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পাবে, যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কোল ইন্ডিয়ার সামগ্রিক উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ২০২৬-২৭ অর্থবর্ষের মধ্যে ১ বিলিয়ন টনে পৌঁছানো।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, কোল ইন্ডিয়ার বহুমুখীকরণ ও সোলার প্রকল্পগুলিও প্রাধান্য পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রসাদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কয়লা মন্ত্রী জি কিসান রেড্ডি এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। রেড্ডি বলেন, “আগামী বছরগুলিতে দেশের শক্তি মিশ্রণে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করবে কয়লা।”
আরও পড়ুন: ৫০-এ কোল ইন্ডিয়া লিমিটেড! কলকাতায় হয়ে গেল প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন
Be First to Comment