অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস: ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির জন্য ইস্পাত খাতের উন্নয়ন অপরিহার্য। আর তা নিশ্চিত করতে কোকিং কয়লা ও লৌহ আকরের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামালের ধারাবাহিক প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করার সময় এমনটাই বললেন কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রী জি কিসান রেড্ডি।
মুম্বইয়ে স্টিল মন্ত্রক ও ফিকি যৌথভাবে আয়োজিত ‘ইন্ডিয়া স্টিল ২০২৫’ প্রদর্শনী ও সম্মেলনের সমাপনী দিনে বক্তৃতা করার সময় তিনি বলেন, “যদি ইস্পাত হয় ভারতের অর্থনীতির মেরুদণ্ড, তবে কয়লা ও খনি হল তার ভিত্তি। টেকসই বৃদ্ধির জন্য শক্তিশালী কাঁচামাল জোগানোর কৌশল আবশ্যক।”
তিনি জানান, কোকিং কয়লা, চুনাপাথর, লৌহ আকর ও ম্যাগনেশিয়াম, নিকেল, ক্রোমিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সরকার ইতিমধ্যেই ‘মিশন কোকিং কয়লা’ চালু করেছে, যার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের ১৪০ মিলিয়ন টন দেশীয় কোকিং কয়লা উৎপাদন এবং ইস্পাত শিল্পে ১০-৩০ শতাংশ দেশীয় কয়লা ব্যবহারের মাধ্যমে আমদানি নির্ভরতা কমানো।

তিনি শিল্প মহলকে নতুন ওয়াশারি তৈরি এবং প্রযুক্তি উন্নয়নের আহ্বান জানান।
সম্মেলনে বক্তৃতা করার সময় কেন্দ্রীয় ইস্পাত প্রতিমন্ত্রী ভূপতিরাজু শ্রীনিবাস বর্মা বলেন, “আমাদের কাঁচামাল নীতিকে দৃঢ় করতে তিনটি স্তম্ভের ওপর জোর দিতে হবে— প্রথমত, বৈচিত্র্যময় উৎসের জন্য ভূ-রাজনৈতিক অংশীদারিত্ব; দ্বিতীয়ত, রিসাইক্লিং অর্থনীতি গড়ে তোলা, যাতে স্ক্র্যাপের সর্বোচ্চ ব্যবহার হয়। তৃতীয়ত, গবেষণা ও উন্নয়নে অগ্রগতি, যাতে ঘরোয়া মজুত সম্ভাবনা কাজে লাগানো যায়।”



Be First to Comment