অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস: ২০২৫ সালে পরপর দ্বিতীয় বছর ভারতে থার্মাল কয়লার আমদানি হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার উপর নির্ভরতা কমা, অর্থনৈতিক কার্যকলাপের ধীরগতি এবং রেকর্ড উচ্চ মাত্রার মজুত থাকার কারণে এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিল্প বিশেষজ্ঞরা।
নয়াদিল্লিতে আয়োজিত কোলট্রান্স ইন্ডিয়া কনফারেন্সে ভারতের ছয়টি শীর্ষস্থানীয় ও আন্তর্জাতিক কয়লা ব্যবসায়ী রয়টার্সকে জানান, চলতি বছরে থার্মাল কয়লার আমদানি কমবে বলে তাঁদের প্রত্যাশা।
তিনজন ব্যবসায়ী অনুমান করেছেন, ২০২৫ সালে আমদানি প্রায় ১০ শতাংশ কমে ১৫৫ মিলিয়ন মেট্রিক টনে পৌঁছতে পারে। দু’জন ব্যবসায়ী ১-২ শতাংশ হ্রাসের পূর্বাভাস দিয়েছেন, অন্য একজন ৭-৮ শতাংশ আমদানি কমার কথা বলেছেন। তবে কেউই তাঁদের নাম প্রকাশ করতে চাননি, কারণ তাঁরা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি পাননি।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম থার্মাল কয়লা আমদানিকারক দেশ ভারতের এই আমদানি হ্রাসের পূর্বাভাস এমন সময় আসছে, যখন বিশ্বব্যাপী কয়লার অতিরিক্ত সরবরাহ নিয়ে ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। ভারতের কয়লা আমদানির চাহিদা কমে গেলে বিশ্ববাজারে কয়লার দামে আরও চাপ সৃষ্টি হতে পারে।
২০২৪ সালে ভারতের থার্মাল কয়লার আমদানি প্রায় ২ শতাংশ কমে ১৭৩ মিলিয়ন মেট্রিক টনে নেমে এসেছে বলে জানায় পরামর্শদাতা সংস্থা বিগমিন্ট। বিশ্বের বৃহত্তম কয়লা উৎপাদক সংস্থা কোল ইন্ডিয়া উৎপাদন বাড়ানোয় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলির কাছে কয়লার মজুত রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।
গত এক দশকে ভারতের কয়লা আমদানির উপর নির্ভরতা ৫.৫ শতাংশ কমে ২০২৪ সালে ২০.৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলে জানায় ভারতীয় কয়লা বাণিজ্য সংস্থা আই-এনার্জি।
এছাড়া, সিমেন্ট শিল্পে পেট্রোলিয়াম কোকের চাহিদা বাড়ার কারণে থার্মাল কয়লার আমদানি হ্রাস পেয়েছে। ব্যয় সংবেদনশীল বাজারে তুলনামূলকভাবে কম দামের কারণে সিমেন্ট শিল্প পেটকোক ব্যবহারে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে।
আই-এনার্জির পরিচালক বাসুদেব পামনানি বলেন, ২০২৫ সালে সিমেন্ট শিল্পে থার্মাল কয়লার পরিবর্তে পেটকোক ব্যবহারের প্রবণতা বাড়বে, কারণ এটি তুলনামূলকভাবে সস্তা। এছাড়া, বেসরকারি খনি সংস্থাগুলির উৎপাদন বৃদ্ধিও ব্যবসায়ীদের ক্রয় কমানোর অন্যতম কারণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।




Be First to Comment