দেশের ইস্পাত শিল্পের চাহিদা মেটাতে এবং উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে বিদেশে লৌহ আকর, কোকিং কয়লা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামালের সম্পত্তি অধিগ্রহণে কোম্পানিগুলিকে উৎসাহ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার (২৬ এপ্রিল) মুম্বইয়ে এক শিল্প সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন স্টিল সচিব সন্দীপ পৌন্ডরিক।
তিনি বলেন, “আমরা আমাদের কোম্পানিগুলিকে বিদেশে সম্পদ অধিগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করছি — লৌহ আকর থেকে শুরু করে কোকিং কয়লা, এমনকি লাইমস্টোন ও ডোলোমাইট পর্যন্ত। স্টিল তৈরিতে কাঁচামালের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।”
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদক ভারত ২০৩০ সালের মধ্যে স্টিল উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২০০ মিলিয়ন টন থেকে বাড়িয়ে ৩০০ মিলিয়ন টন করার লক্ষ্য নিয়েছে।

এই সম্প্রসারণের জন্য, কোকিং কয়লার আমদানি ২০৩০ সালের মধ্যে বর্তমান প্রায় ৫৮ মিলিয়ন টন থেকে বাড়িয়ে ১৬০ মিলিয়ন টনে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে শুক্রবার পূর্বাভাস দিয়েছেন সন্দীপ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও ইস্পাত শিল্পকে “ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের” আহ্বান জানিয়েছেন।
দেশের ইস্পাত উৎপাদনে সাম্প্রতিককালে বৃদ্ধি হলেও, মার্চে শেষ হওয়া অর্থবছরে অস্ট্রেলিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কম চালানের কারণে ভারতের কোকিং কয়লা আমদানি ০.৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে বলে কমোডিটি কনসালটেন্সি বিগমিন্ট জানিয়েছে।
ভারত নিজের কোকিং কয়লার ৮৫ শতাংশ আমদানির ওপর নির্ভর করে, যার মধ্যে অস্ট্রেলিয়া একাই অর্ধেকের বেশি সরবরাহ করে।
সরবরাহ বৈচিত্র্য আনতে ভারত মঙ্গোলিয়ার সঙ্গেও অংশীদারিত্বের চেষ্টা করছে, যদিও ভূমিবদ্ধ এই দেশ থেকে পরিবহনের ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এছাড়া, ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত খনি সংস্থা এনএমডিসি (NMDC) ইন্দোনেশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ায় কোকিং কয়লার সম্পদ অধিগ্রহণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার চেয়ারম্যান অমিতাভ মুখোপাধ্যায়।



Be First to Comment