অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস: সম্প্রতি কয়লা খাতকে আত্মনির্ভরশীল করার লক্ষ্যে বর্তমানে চালু খনন কার্যকলাপকে আরও সম্প্রসারণ এবং নতুন প্রকল্পের সূচনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন কয়লামন্ত্রী জি কিসান রেড্ডি। তিনি জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কোল ইন্ডিয়া লিমিটেডের (সিআইএল) নিজের সবক’টি শাখাকে তাদের বার্ষিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
মন্ত্রকের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই প্রচেষ্টার জন্য বন ও পরিবেশ ছাড়পত্র পাওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে, কোল ইন্ডিয়া দেশের মোট কয়লা উৎপাদনের ৮০ শতাংশের বেশি সরবরাহ করে, যা দেশের শক্তির চাহিদা মেটাতে অপরিহার্য।
নাগপুরে সিআইএলের একটি শাখা, ওয়েস্টার্ন কয়লফিল্ডস লিমিটেড (ডব্লিউসিএল)-এর সদর দফতরে পরিদর্শন করেন কয়লামন্ত্রী। সেখানে তিনি সংস্থার উৎপাদন, উৎপাদনশীলতা এবং বিতরণ দক্ষতা পর্যালোচনা করেন এবং প্রকল্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন।

এই পরিদর্শনের সময়, ডব্লিউসিএল কর্তৃপক্ষ প্রথম ও দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের উৎপাদন, বিতরণ এবং অতিরিক্ত আবর্জনা অপসারণের বিষয়গুলোর ওপর একটি বিস্তারিত উপস্থাপনা করেন। রেড্ডি নিশ্চিত করেছেন যে, ডব্লিউসিএল এই আর্থিক বছরের শেষে তার বার্ষিক উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে সক্ষম হবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের শক্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও ভোক্তাদের চাহিদা মেটাতে কয়লা উৎপাদন বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এর জন্য নতুন খনন প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়িত করতে হবে এবং পরিবেশ সংরক্ষণের বিষয়গুলোও নিশ্চিত করতে হবে।
সরকারের এই উদ্যোগ দেশকে বিদেশি কয়লা আমদানির উপর নির্ভরশীলতা কমাতে সহায়তা করবে এবং স্থানীয় অর্থনীতির বিকাশে ভূমিকা রাখবে। আশা করা হচ্ছে, এই পদক্ষেপগুলো দেশের কয়লা ক্ষেত্রকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে এবং পাাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্প ক্ষেত্রেও স্বনির্ভরতা বৃদ্ধি করবে।



Be First to Comment