Press "Enter" to skip to content

বিদেশি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলির স্বস্তি, পূর্ণ ক্ষমতায় চালানোর নির্দেশ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়াল কেন্দ্র

অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস: বিদেশি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিকে পূর্ণ ক্ষমতায় চালানোর নির্দেশ ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, এই নির্দেশের আওতায় রয়েছে টাটা পাওয়ার কো. লিমিটেডের কোস্টাল পাওয়ার গুজরাট, আদানি পাওয়ার মুন্দ্রা লিমিটেড, এসার পাওয়ার গুজরাট এবং জেএসডব্লিউ রত্নগিরির মতো ১৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্র।

বিদ্যুৎ মন্ত্রকের আগের নির্দেশ অনুযায়ী, এই কেন্দ্রগুলিকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পূর্ণ ক্ষমতায় পরিচালনা করার কথা ছিল। এগুলির সম্মিলিত উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১৭ গিগাওয়াট, যা শীর্ষ বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিদ্যুৎ চাহিদার ক্রমবর্ধমান প্রবণতার মুখে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, জানুয়ারিতে শীর্ষ বিদ্যুৎ চাহিদা হবে ২৩৭ গিগাওয়াট, ফেব্রুয়ারিতে ২৩৪ গিগাওয়াট এবং মার্চে ২৪০ গিগাওয়াট। তবে সন্ধ্যা ও ভোরের শীর্ষ চাহিদা, যখন সৌরশক্তি পাওয়া যায় না, জানুয়ারিতে হবে ২১৫ গিগাওয়াট, ফেব্রুয়ারিতে ২১২ গিগাওয়াট এবং মার্চে ২২৩ গিগাওয়াট।

ইলেকট্রিসিটি অ্যাক্টের ধারা ১১-এর আওতায় সরকার বিশেষ পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিকে তাদের কার্যক্রম চালাতে বাধ্য করতে পারে। এই সম্প্রসারিত নির্দেশের লক্ষ্য বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে পর্যাপ্ত উৎপাদন ক্ষমতা নিশ্চিত করা।

সরকার বিদেশি কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলির উৎপাদন খরচ কমাতে দেশীয় কয়লা ব্যবহারের সমাধান খুঁজছে। তবে কেন্দ্রগুলির নকশাগত সীমাবদ্ধতার কারণে এবং উচ্চ-গ্রেডের কয়লার পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় এখনো দেশীয় কয়লা ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি।

বর্তমান শিল্প পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিদেশি কয়লার উপর নির্ভরশীল কেন্দ্রগুলিতে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের খরচ (স্থির খরচ বাদে) ৪.১-৫.৬ টাকা। অন্যদিকে, দেশীয় কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রগুলিতে সমস্ত খরচসহ প্রতি ইউনিট খরচ ২.৫-৫.৫ টাকার মধ্যে হতে পারে।

More from শিল্প-বাণিজ্যMore posts in শিল্প-বাণিজ্য »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *