অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস: দেশে কয়লার উৎপাদন বাড়লেও ও পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানির (RE) প্রতি কেন্দ্রের জোর থাকা সত্ত্বেও ভারতের কয়লা আমদানির উপর নির্ভরতা ক্রমেই বাড়ছে। থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ক্লাইমেট রিস্ক হরাইজনস (CRH)-এর এক বিশ্লেষণে জানা গেছে, ২০১৩ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ভারতের থার্মাল কয়লা আমদানি ৫৮ শতাংশ বেড়েছে, আর খরচ বেড়েছে ১২৪ শতাংশ। এর পেছনে রয়েছে বিশ্ববাজারে কয়লার অস্থির মূল্য এবং টাকার মূল্যহ্রাস।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই প্রবণতা রুখতে এবং কয়লা আমদানির উপর নির্ভরতা কমাতে পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানির দ্রুত বিস্তার এখন সময়ের দাবি। গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ চাহিদা তুঙ্গে ওঠায় সেই সময় কয়লা আমদানির পরিমাণও সবচেয়ে বেশি থাকে।
২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে জুন—এই তিন মাসে গ্রীষ্মের সময় প্রতি মাসে গড়ভাবে অতিরিক্ত ২.৬৫ মিলিয়ন টন থার্মাল কয়লা আমদানি করেছে ভারত, যা অন্যান্য মাসের তুলনায় অনেক বেশি। ওই চাহিদা পূরণ করতে গেলে প্রায় ৩৩ গিগাওয়াট নতুন নবায়নযোগ্য জ্বালানি স্থাপন করতে হবে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই অতিরিক্ত পুনর্নবীকরণ জ্বালানি কাজে লাগাতে পারলে শুধুমাত্র গ্রীষ্মকালেই বছরে প্রায় ৭,০২৫ কোটি টাকার কয়লা আমদানির খরচ বাঁচানো সম্ভব।
এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদনের লেখক বিষ্ণু তেজা বলেছেন, “আন্তর্জাতিক বাজারে বাণিজ্য ঘাটতির কারণে কয়লা আমদানির উপর নির্ভরতা যে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, তা আমরা বারবার দেখেছি। ভারতের শক্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে আমদানি নির্ভর থার্মাল কয়লা থেকে সরে আসতে হবে। এর সেরা উপায় হল পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির দ্রুত বিস্তার।”
তাঁর মতে, বছরে ৫০ গিগাওয়াট করে পুনর্নবীকরণযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে পারলে ২০৩০ সালের মধ্যে কয়লা আমদানির প্রয়োজন প্রায় শূন্যে নামিয়ে আনা সম্ভব। এতে ২০২৫ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রায় প্রায় ৫.৬৭ লক্ষ কোটি টাকার সাশ্রয় হতে পারে।
২০২৫ থেকে ২০৩৪ পর্যন্ত এই সাশ্রয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ১৩.৯ লক্ষ কোটি টাকা।



Be First to Comment