অন্ডাল : দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা ইসিএলের কাজোড়া এরিয়ার মধুজোড় কোলিয়ারি ফের চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে
সংস্থা।
কয়লা উৎপাদনের বরাত দেওয়া পেয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা। কিন্তু বকেয়া চাকরি ও নতুন করে জমি অধিগ্রহণ সহ কয়েকটি কারণে কোলিয়ারিটি ফের চালু করা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। সম্প্রতি উক্ত কোলিয়ারির পরিত্যক্ত আবাসনগুলি খালি করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন সংশ্লিষ্ট সংস্থা।
উল্লেখ্য, ৩০ বছর ধরে আবাসনগুলিতে বসবাস করছে প্রায় ৬০/৭০ টি পরিবার। পুনর্বাসনের দাবিতে তারা ইতিমধ্যে শুরু করেছে বিভিন্ন জায়গায় দরবার ও আন্দোলন।

উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে মধুজোড় কোলিয়ারির জন্য দক্ষিণখন্ড, ভাদুর, কালিপুর গ্রাম সহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় বেশ কিছু জমি অধিগ্রহণ করে বেসরকারি সংস্থা। জমির বিনিময়ে কিছু জমিদাতা চাকরি পেলেও এখনো ৩৩ জনের চাকরি এখনো হয়নি।
আর এখন, নতুন করে কোলিয়ারিটি চালু হবে এই খবর প্রচার হতেই চাকরি না পাওয়া জমিদাতারা সংগঠিত হয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ।
তাঁদের দাবি, বকেয়া চাকরি না দেওয়া পর্যন্ত নতুন কোলিয়ারির কাজ করতে দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছে তারা। বিষয়টির এখনো কোনও মীমাংসা হয়নি। এরপর রয়েছে নতুন করে জমি অধিগ্রহণে জটিলতা। যে জায়গাগুলি নতুন করে অধিগ্রহনের প্রয়োজন রয়েছে, সেইসব জমির মালিকরা সংশ্লিষ্ট বেসরকারি সংস্থাকে জমি দিতে রাজি নয়। তাঁদের দাবি, জমি সরাসরি কিনতে হবে ইসিএলকে, এই দাবিতে সরব হয়েছে জমির মালিকরা।
সেই মোতাবেক তৈরি হয়েছে “অন্ডাল কৃষি জমি জীবিকা রক্ষা সমিতি” নামে একটি সংগঠন। শুক্রবার ঘটনাস্থলে জড়ো হয় জীবন জীবিকা রক্ষা সমিতির সদস্য ও স্থানীয়রা। বকেয়া চাকরি ও সরাসরি জমি অধিগ্রহণের দাবি না মেটা পর্যন্ত কাজ করতে দেওয়া হবে না বলে সংস্থাকে তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। আন্দোলনকারীরা সংস্থার কাজোড়া এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার প্রশান্ত কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তার কাছে এই বিষয়ে কোন খবর নেই বলে জানান তিনি।
জীবন জীবিকা রক্ষা সমিতির পক্ষে সভাপতি উজ্জ্বল পাল, সম্পাদক তপন মুখোপাধ্যায়, প্রবীর মন্ডল, শরত ঘাটিরা বলেন নতুন করে কোলিয়ারিটি চালু হলে তাতে কারো কোন আপত্তি নেই। কিন্তু বকায়া চাকরি ও সরাসরি জমি অধিগ্রহণের দাবি সংস্থাকে মানতে হবে। যতদিন না এই দাবিগুলি মানা হচ্ছে ততদিন মালিকদের নিজস্ব জমিতে কোনরকম কাজ করতে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তারা।




Be First to Comment