অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস: ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম কয়লা মজুদের দেশ হলেও কোকিং কয়লা এবং উচ্চমানের থার্মাল কয়লার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ঘাটতির সম্মুখীন হয়। কারণ, এই জাতীয় কয়লা দেশীয় উৎস থেকে সহজলভ্য নয়। তবে, কয়লা মন্ত্রকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, কয়লা আমদানির ক্ষেত্রে দেশে উল্লেখযোগ্য হ্রাস দেখা গেছে।
২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত কয়লা আমদানি ৩ শতাংশের বেশি কমে ১৪৯.৩৯ মিলিয়ন টন (এমটি)-এ নেমেছে। আগের বছরের একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল ১৫৪.১৭ এমটি।
অন্যদিকে, এই সময়ে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩.৮৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সরবরাহ এবং চাহিদার মধ্যে বাড়তে থাকা ব্যবধানকে স্পষ্ট করে তুলেছে।

মিশ্রণের জন্য আমদানিকৃত কয়লার পরিমাণ একই সময়ে ১৯.৫ শতাংশ কমে গেছে। মন্ত্রকের মতে, “কয়লা উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জন এবং আমদানির উপর নির্ভরতা কমানোর ক্ষেত্রে ভারতের দৃঢ় প্রতিশ্রুতি” এই হ্রাসের মূল কারণ।
তবুও, আমদানি নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লার ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এই সময়ে তারা প্রায় ৩০ এমটি কয়লা গ্রহণ করেছে, যা আগের বছরের ২১.৭ এমটির তুলনায় ৩৮.৪ শতাংশ বেশি।
দেশীয় কয়লা উৎপাদনে বৃদ্ধিও দেখা গেছে। এপ্রিল-অক্টোবর সময়ে উৎপাদন ৬ শতাংশের বেশি বেড়ে ৫৩৭.৫ এমটিতে পৌঁছেছে। মন্ত্রক জানিয়েছে, “কয়লার ব্যবহার কার্যকর করার এবং দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সরকারের চলমান উদ্যোগ এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে প্রতিফলিত করে।”
তবে, দেশীয় উৎপাদন বাড়লেও আমদানি নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর চাহিদা বাড়ার কারণে সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে একটি সম্ভাব্য ব্যবধান দেখা দিতে পারে। মন্ত্রকের প্রতিবেদনে এই সমস্যাটি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে উল্লেখ করা হয়নি।




Be First to Comment