অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস: চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত দেশে কয়লা আমদানি প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে। গত বছর একই সময়ের তুলনায়, অ-নিয়ন্ত্রিত ক্ষেত্র এবং দেশীয় কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো (ব্লেন্ডিংয়ের জন্য) ৯.৮৩ শতাংশ কম কয়লা আমদানি করেছে, যা ৭০.১৮ মিলিয়ন টন (এমটি) থেকে ৬৩.২৮ মিলিয়ন টনে নেমে এসেছে। তাছাড়া, দেশীয় তাপবিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলো ৮.৫৯ শতাংশ কম কয়লা আমদানি করেছে, যা ১০.৭১ মিলিয়ন টন থেকে ৯.৭৯ মিলিয়ন টনে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে দেশীয় কয়লার সরবরাহের ওপর আরও বেশি নির্ভরশীলতা প্রকাশ পেয়েছে।
তবে, ইস্পাত শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় কোকিং কয়লা এবং আমদানি করা কয়লা ভিত্তিক (আইসিবি) তাপবিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোর জন্য কয়লার আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই প্রকল্পগুলোতে অবশ্য প্রযুক্তিগত কারণে দেশীয় কয়লায় প্রতিস্থাপন করা সম্ভব নয়।
এপ্রিল-সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত মোট কয়লা আমদানি সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে ১.৩৬ শতাংশ বেড়ে ১২৯.৫২ মিলিয়ন টনে পৌঁছেছে, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১২৭.৭৮ মিলিয়ন টন।
মূল্যের দিক থেকেও, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এপ্রিল-সেপ্টেম্বর সময়কালে আমদানি করা কয়লার মোট মূল্য দাঁড়িয়েছে ১,৩৮,৭৬৩.৫০ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের ১,৫২,৩৯২.২৩ কোটি টাকার তুলনায় কম। এর ফলে ১৩,৬২৮.৭৩ কোটি টাকা সঞ্চয় হয়েছে, যা কয়লা কেনার ক্ষেত্রে আরও কার্যকরী পদ্ধতির প্রতিফলন।
কয়লামন্ত্রক জানিয়েছে, আমদানি করা কয়লার ওপর নির্ভরতা কমানোর জন্য দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি এবং লজিস্টিকস ব্যবস্থা সরলীকরণে আরও মনোযোগ দেওয়া হবে। একদিকে, অপরিবর্তনীয় কয়লার আমদানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শিল্প যেমন বিদ্যুৎ এবং ইস্পাত প্রকল্পগুলোর জন্য নিশ্চিত করা হবে, যা এ দেশের শক্তি নিরাপত্তা এবং খরচের দক্ষতা নিশ্চিত করবে। মন্ত্রক আরও বলেছে, এ পদক্ষেপগুলো ‘আত্মনির্ভর ভারত’ লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।
Be First to Comment