Press "Enter" to skip to content

ডেউচা-পাঁচামি কয়লা প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের কাছে জবাব তলব কলকাতা হাইকোর্টের

অনলাইন কোলফিল্ড টাইমস: রাজ্য সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (ডব্লিউবিপিডিসিএল)-এর কাছে ডেউচা-পাঁচামি দেওয়ানগঞ্জ হরিণশিঙা (ডিপিডিএইচ) কয়লা খনি প্রকল্প সংক্রান্ত বিষয়ে জবাব তলব করেছে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল, ২০২৫) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবগণনম ও বিচারপতি চৈতালী চট্টোপাধ্যায়ের বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

অর্থনীতিবিদ ও সমাজকর্মী প্রসেনজিৎ বসু দায়ের করা এক রিট মামলার প্রেক্ষিতে আদালত রাজ্য সরকার ও ডব্লিউবিপিডিসিএল-সহ উত্তরদাতাদের আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে। প্রয়োজনে তারপরে আরও এক সপ্তাহের মধ্যে পাল্টা হলফনামা জমা দেওয়ার সুযোগ থাকবে।

ডব্লিউবিপিডিসিএল বর্তমানে বীরভূম জেলার ডিপিডিএইচ কয়লা ব্লকে ৮০ থেকে ২৫০ মিটার পুরু ব্যাসল্ট স্তর খননের কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে ঘোষণার পর গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে এই খনন কাজ শুরু হয়, যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ এর বিরোধিতা করছে।

প্রসেনজিৎ বসু তাঁর আবেদনে অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার ও ডব্লিউবিপিডিসিএল আইনগত ও চুক্তিগত বাধ্যবাধকতা মানছে না এবং একটি কয়লা ব্লকে ব্যাসল্ট খননের বিভ্রান্তিকর পথ অনুসরণ করছে।

তিনি বলেন, “২০২১ সালের নভেম্বর মাসে প্রকাশিত সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে প্রকল্পটি একভাবে বর্ণনা করা হয়েছিল। কিন্তু ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর সরকারি কর্মকর্তারা যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা আগের বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে মেলে না।”

তিনি আরও জানান, এই প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা, পরিবেশগত ছাড়পত্র এবং অন্যান্য সরকারি অনুমোদন সংক্রান্ত কোনও তথ্য প্রকাশ্যে নেই। এলাকার মানুষও জানেন না কী হচ্ছে, এমনকি কোনও গণশুনানি পর্যন্ত হয়নি। অনেকেই ক্ষতিপূরণ ও চাকরির আশায় জমি ছাড়তে রাজি হলেও, বহু মানুষ এখনও সম্মতি দেননি।

তিনি প্রশ্ন তোলেন, “কয়লা খনি চুক্তির অধীনে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে চুক্তি করা ডব্লিউবিপিডিসিএল কীভাবে ব্যাসল্ট খনন করছে? ব্যাসল্ট খনন একটি পৃথক প্রকল্প, এবং সেটি আগের চুক্তির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া উচিত।”

শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম মাদ্রাজ হাই কোর্টের একটি পূর্ববর্তী রায়ের উল্লেখ করে বলেন, “কিছু রায় আছে, যেখানে বলা হয়েছে যে পরবর্তী সময়ে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেওয়া যায় কি না, অথবা তা আগেই পাওয়া উচিত।”

More from শিল্প-বাণিজ্যMore posts in শিল্প-বাণিজ্য »

Be First to Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *