তীব্র রাজনৈতিক বিরোধিতা, পথে বিক্ষোভ, কেন্দ্রকে আক্রমণ—সব কিছু সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ওয়াকফ সংশোধনী আইন ২০২৫ মেনে নিল রাজ্য সরকার। নতুন আইনের অধীনে রাজ্যের সমস্ত ওয়াকফ সম্পত্তির তথ্য কেন্দ্রীয় পোর্টালে তুলে দিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সব জেলাশাসককে নির্দেশ পাঠিয়েছে নবান্ন। সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের সচিব পি বি সালিম এই চিঠি পাঠিয়েছেন বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।
চলতি বছরের এপ্রিলে সংসদের দুই কক্ষেই পাশ হয় ওয়াকফ সংশোধনী বিল। এর পরে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বিলটিতে সই করলে তা আইনে পরিণত হয়। তবে আইন কার্যকর হওয়ার সময়ই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পশ্চিমবঙ্গে এই আইন লাগু হবে না। এরই প্রতিবাদে দেশে ও বাংলায় বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছিল। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টেও আইনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়। শীর্ষ আদালত পুরো আইনটিকে স্থগিত না করলেও দুটি ধারা আপাতত বাতিল রেখে বাকি অংশ কার্যকর থাকার নির্দেশ দেয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সুপ্রিম কোর্ট সংশোধিত আইনে পূর্ণ স্থগিতাদেশ না দেওয়ায় আইন মানতে সব রাজ্যের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কেন্দ্রীয় পোর্টালে দেশের সমস্ত নিবন্ধিত ওয়াকফ সম্পত্তির তথ্য আপলোড করার সময়সীমা ছয় মাস, যা শেষ হচ্ছে আগামী ৫ ডিসেম্বর। সময়সীমা সামনে রেখে রাজ্য সরকারও দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে।
নবান্নের নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্যের প্রতিটি জেলাশাসককে ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ‘umeedminority.gov.in’ পোর্টালে জেলার সব ওয়াকফ সম্পত্তির খতিয়ান আপলোড করতে হবে। এর মাধ্যমে রাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্রীয় ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিধান মেনে নিল, যদিও রাজনৈতিক বিতর্ক এখনও থামেনি।
