নদিয়ার কৃষ্ণনগরের ষষ্ঠীতলায় ফের এক বিএলও-র আত্মহত্যার ঘটনা সামনে এল। শনিবার সকালে বাড়ি থেকে রিঙ্কু তরফদার নামে ৫১ বছরের এক পার্শ্বশিক্ষিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তিনি বাঙালঝি এলাকার স্বামী বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরে পার্শ্বশিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং একই এলাকায় বিএলও-র দায়িত্ব পালন করছিলেন।এরপরই কমিশনকে নিশানা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, “এই এসআইআর-এর জন্য আর কতজনকে মরতে হবে?”
শনিবার এক্স হ্যান্ডল পোস্টে তাঁর প্রশ্ন, “এসআইআরের চাপে এভাবে আর কত জীবন নষ্ট হবে? আর কত মৃতদেহ গুনতে হবে? এটা এবার অত্যন্ত গুরুতর ব্যাপার হয়ে উঠছে।’ মমতা আরও লিখেছেন, ‘কৃষ্ণনগরের চাপড়ার ২০১ নং বুথের বিএলও, পার্শ্বশিক্ষিকা রিঙ্কু তরফদারের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। এসআইআরের কাজে চাপের কথা তিনি লিখে গিয়েছেন সুইসাইড নোটে।”
নদিয়ার ওই বিএলও-র মৃত্যুর জন্য উল্টে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করল গেরুয়া শিবির। বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, “এসআইআরের কাজের জন্য ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগের কথা বলেছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী তা মানেননি। ওই বিএলও-র পরিবার জানিয়েছে, তিনি অনলাইনে কাজ ঠিকমতো করতে পারতেন না। যদি ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করা হত, তাহলে আমরা একজনকে হারাতাম না। এই মৃত্যুর দায় মুখ্যমন্ত্রীর।”
পড়তে পারেন: বিএলও-দের মৃত্যু ও মানসিক বিপর্যয় কি গণতন্ত্রের ভিত্তি হিসাবে স্বীকৃতি পাবে?










