আসানসোলে টোটো ও ই-রিকশার রেজিস্ট্রেশন নিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আরটিও বা পরিবহন দপ্তরের বিরুদ্ধে জুলুমবাজির অভিযোগ উঠল।
রেজিস্ট্রেশন করানোর জন্য গত তিনদিনে দেড়শোর বেশি টোটো ও ই-রিকশাকে আরটিওর নির্দেশে আসানসোলের বিভিন্ন থানার পুলিশ আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ। দাবি করা হয়েছে, টোটো ও ই-রিকশা চালকদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য রাজ্য সরকারের নির্দিষ্ট করে দেওয়া টাকার চেয়ে বেশি টাকা চাওয়া হচ্ছে।
গোটা বিষয়টি নিয়ে জেলার আরটিও বা পরিবহন দপ্তরের আধিকারিকের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক ইউনিয়ন আইএনটিটিইউসি নেতা রাজু আলুওয়ালিয়া। এই জুলুমবাজি ও হয়রানির প্রতিবাদে ও জেলা পরিবহন দপ্তরের আধিকারিকের বদলির দাবিতে সোমবার সকালে টোটো এবং ই-রিকশা চালকেরা আসানসোলে রাজু আলুওয়ালিয়ার নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখান। আরটিও অফিসে টোটো ও ই-রিক্সা চালকদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য আলাদা কাউন্টার ২৪ ঘন্টার মধ্যে খোলা ও সরকারের ঠিক করে দেওয়া টাকা নেওয়ার দাবি করা হয়েছে। এই দাবি পূরণ না হলে, আরটিও অফিসে ধর্ণা অবস্থানে বসার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে রাজু আলুওয়ালিয়া এদিন বলেন, “আমি ও আমরা রাজ্য সরকারের টোটো এবং ই-রিকশার রেজিস্ট্রেশনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। তবে বিভিন্ন এলাকায় গত ৭ নভেম্বর থেকে আরটিও অফিস যেভাবে টোটো ও ই-রিক্সা আটক করছে তার তীব্র নিন্দা করছি”।
তিনি বলেন, টোটো ও ই-রিকশার রেজিস্ট্রেশনের শেষ সময়সীমা হল ৩০ নভেম্বর। কিন্তু তার আগেই আরটিও অফিস টোটো এবং ই-রিক্সা বাজেয়াপ্ত করছে । তিনি জানতে চান যে, রাজ্য সরকার যখন রেজিষ্ট্রেশনের জন্য ১০০০ টাকা নির্ধারণ করেছে, তখন কেন টোটো এবং ই-রিক্সা চালকদের ১৫ হাজার থেকে ১৭ হাজার টাকা দিতে বলা হচ্ছে?
তিনি অভিযোগ করেন যে, টোটো চালকরা যখন রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে জানতে আরটিও অফিসে যান, তখন তাদের টোটো শোরুমের সাথে কথা বলতে বলা হচ্ছে। তার দাবি , আরটিও অফিসের রেজিস্ট্রেশনের আছে, শোরুম মালিকদের নয়। তিনি আরো বলেন , রাজ্য সরকার আরটিওকে কেবল মাত্র রেজিষ্ট্রেশনের অধিকার দিয়েছে। বলা হয়েছে ১০০০ টাকায় রেজিস্ট্রেশন করা হবে। কিন্তু টোটো চালকদের কাছ থেকে ১৫০০০ টাকারও বেশি দাবি করা হচ্ছে। তার প্রশ্ন, এত টাকা কার পকেটে যাচ্ছে? কেউ কি কাটমানি খাচ্ছে? এর পেছনে দূর্নীতি রয়েছে।
তিনি বলেন, “আমি গোটা বিষয়টি রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটককে অবহিত করব”।
তিনি দাবি করেন, “দুর্নীতিবাজ আরটিও অফিসারের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে বা তাঁকে বদলি করতে হবে। এর সাথে তিনি এও দাবি করেন যে টোটো এবং ই-রিকশা রেজিস্ট্রেশনের জন্য ২৪ ঘন্টার মধ্যে আরটিও অফিসে একটি পৃথক কাউন্টার খুলতে হবে”।










