কোলফিল্ড টাইমস: ক্যানবেরায় প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ার পর শুক্রবার মেলবোর্নে নিজেদের প্রমাণের সুযোগ ছিল ভারতের সামনে। কিন্তু সেই পরীক্ষায় একেবারেই উতরে উঠতে পারলেন না সূর্যকুমার যাদবরা। আগে ব্যাট করে ভারতের তোলা ১২৫ রানের লক্ষ্য ছয় উইকেট হাতে রেখেই তুলে ফেলল অস্ট্রেলিয়া। জয় এল প্রায় আট ওভার বাকি থাকতে। সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাম্প্রতিককালে ভারতকে অনেকেই অপরাজেয় দল হিসেবে দেখে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া দেখিয়ে দিল, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস কখনওই শুভ নয়। ব্যাটিং-বোলিং— দুই বিভাগেই ব্যর্থ সূর্যকুমারের দল। ১২৫ রান নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে লড়াই করা কঠিন, আর ভারতের ব্যাটারদের পারফরম্যান্সে সেটাই আরও স্পষ্ট হল।
টসে হারার পর প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারতের উইকেট পতন শুরু হয় তৃতীয় ওভার থেকেই। একে একে ফিরলেন শুভমন গিল (৫), সঞ্জু স্যামসন (২), সূর্যকুমার যাদব (১), তিলক বর্মা (০), অক্ষর পটেল (৭)। গোটা ইনিংসে দু’অঙ্কের রানে পৌঁছেছেন মাত্র দু’জন— অভিষেক শর্মা (৬৮) ও হর্ষিত রানা (৩৫)।
৩২ রানে চার উইকেট পড়ে যাওয়ার পরেও কেউই ইনিংস সামলানোর মানসিকতা দেখাতে পারেননি। গৌতম গম্ভীরের ‘ভয়ডরহীন ক্রিকেট’ দর্শন হয়তো মাঠে বেশি আগ্রাসী মনোভাব এনেছে, কিন্তু সেই ঝুঁকিপূর্ণ খেলার ফলেই দল গুঁড়িয়ে গেল দ্রুত।
অভিষেক শর্মা একাই ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়লেন। মাত্র ৩৭ বলে ৬৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেও অন্য প্রান্ত থেকে কোনও সাপোর্ট পাননি। ষষ্ঠ উইকেটে হর্ষিতের সঙ্গে ৫৬ রানের পার্টনারশিপই ভারতের একমাত্র উজ্জ্বল দিক।
মাত্র ১২৫ রানে লড়াই করা কঠিন ছিলই। তার উপর বোলাররাও ছাপ ফেলতে পারলেন না। মিচেল মার্শ ২৬ বলে ৪৬ রান করে একাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন ট্রেভিস, যিনি ১৫ বলে ২৮ রান করেন।
হর্ষিত রানা বল হাতে ২ ওভারে দেন ২৭ রান। অন্য কেউই অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং চাপে লাগাম পরাতে পারেননি। ফলে একেবারেই অনায়াস জয় পেল স্বাগতিকরা। সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। বাকি তিনটি ম্যাচ।










