Home / খবর / জেলায় জেলায় / বসবাসের প্রমাণপত্র পেতে চিত্তরঞ্জনের বাসিন্দাদের হয়রানি, রেলকে চিঠি সিআরএমসি’র

বসবাসের প্রমাণপত্র পেতে চিত্তরঞ্জনের বাসিন্দাদের হয়রানি, রেলকে চিঠি সিআরএমসি’র

চিত্তরঞ্জন রেল শহরের বাসিন্দাদের রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট বা বসবাসের প্রমাণপত্র পাওয়ার জটিলতা দূর করতে রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিল চিত্তরঞ্জন রেলওয়ে মেনস কংগ্রেস।

এ বিষয়ে ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সিং সিএলডব্লুর উপ- মহাপ্রবন্ধকের কাছে চিঠি দিয়েছেন। ৩০ অক্টোবরের এই চিঠির প্রতিলিপি দিয়েছেন মহাপ্রবন্ধকের সচিবের কাছেও। চিঠিতে তিনি বলেছেন, এতদিন রেল শহরের বাসিন্দাদের ডোমিসাইল সার্টিফিকেটের জন্য ৩০ কিলোমিটার দূরে মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে যেতে হতো। এতে প্রচুর হয়রানির শিকার হতে হতো। তাই। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ দরবার করার পর সালানপুর ব্লক প্রশাসনের শীর্ষকর্তা বিডিওর কাছ থেকেই এই শংসাপত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়।

এ বিষয়ে বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়, বিভিন্ন রেল কর্মী ইউনিয়ন এবং বাসিন্দারা একাধিকবার প্রশাসনে আবেদন জানিয়েছিলেন। ‌ কিন্তু সালানপুর বিডিও অফিস থেকে এই শংসাপত্র পেতে হলে চিত্তরঞ্জনের ভাইস ওয়ার্ডেনের দেওয়া আগাম একটি রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট বিডিওর কাছে আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হয়। এবং ভাইস ওয়ার্ডেনের দেওয়া ওই সার্টিফিকেটে অতি অবশ্যই ওয়ার্ডেন কিংবা অ্যাসিস্ট্যান্ট ওয়ার্ডেনের কাউন্টার স্বাক্ষর থাকা আবশ্যিক করে দেওয়া হয়।

গোলমাল বেধেছে এইখানেই। ইন্দ্রজিৎ বাবুর অভিযোগ, রেল কর্তৃপক্ষ ওয়ার্ডেন বা অ্যাসিস্ট্যান্ট ওয়ার্ডেনদের এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশ না দেওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই তারা ভাইস ওয়ার্ডেনদের দেওয়া রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেটে কাউন্টার সাইন করছেন না। এরফলে বিডিও সরাসরি কোনও আবেদনকারীকে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট দিতে পারছেন না। তাই যাতে ওয়ার্ডেন বা অ্যাসিস্ট্যান্ট ওয়ার্ডেন তাতে কাউন্টার সাইন করে দেন সে রকম নির্দেশ জারি করার অনুরোধ জানিয়েছেন ইন্দ্রজিৎবাবু।

তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে রেল শহরের বাসিন্দাদের রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয়। সে সরকারি চাকরি হোক কিংবা শিক্ষাক্ষেত্রে বাইরে ভর্তির জন্যই হোক বা বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্যই হোক না কেন রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে দিতে হয়। কিন্তু শহরের ভাইস ওয়ার্ডেনরা এবং সালানপুর বিডিও এই বিষয়ে ইতিবাচক থাকলেও ওয়ার্ডেন কিংবা এ্যসিস্ট্যান্ট ওয়ার্ডেনের সহযোগিতার অভাবে রেল শহরের বাসিন্দাদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে তার অভিযোগ।

যদিও এই বিষয়ে সালালপুর বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ভাইস ওয়ার্ডেনের দেওয়া সাময়িক রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেটে ওয়ার্ডেনের কাউন্টার সাইন না থাকলে বিডিও অফিস থেকে আবেদনকারীর নথিপত্র সরেজমিনে যাচাইয়ের জন্য খোঁজ খবর নিতে হয়। ‌ সেজন্য কিছুটা সময় ব্যয় হয়, কিন্তু কোনও আবেদনকারীকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় না বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তবে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী এক রেল কর্মী বলেন, চিত্তরঞ্জনের বাসিন্দাদের ডোমিসাইল বা রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট পেতে বহু কাঠখড় পোড়াতে হয়। বিডিও অফিস থেকে এই সার্টিফিকেট সহজে পাওয়ার সুযোগ পেলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন।

alternatetext
Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *