Home / খবর / মানুষের ভিড়ের সঙ্গে আলোর ঝলকানি, পঞ্চমীতেই উৎসবে মাতোয়ারা গোটা চন্দননগর

মানুষের ভিড়ের সঙ্গে আলোর ঝলকানি, পঞ্চমীতেই উৎসবে মাতোয়ারা গোটা চন্দননগর

চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় : হুগলি জেলার চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো বাংলার মানচিত্রে এক বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। এই পুজোর জাঁকজমক কলকাতার দুর্গাপুজোকে সমানে সমানে টক্কর দিচ্ছে। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর আকর্ষণ এখনও বিশাল বিশাল প্রতিমা আর দুরন্ত আলোকসজ্জা। বিগত কয়েক বছরে বাজেট যেমন বেড়েছে, তেমনই চোখধাঁধানো হয়েছে প্যান্ডেল।

এডবার চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর পঞ্চমীর দিন থেকেই উপচে পড়ছে ভিড়। সন্ধে নামার অপেক্ষা। তারপর থেকেই শুধু মাথা আর মাথা। মানুষের ভিড়, আলোর ঝলকানি, দুর্দান্ত সব প্যান্ডেল আর উৎসবের আনন্দে গোটা চন্দননগরে দুর্গাপুজোর আমেজ। কলকাতায় যেমন জগদ্ধাত্রী পুজো হয় কেবল নবমীর দিন। চন্দননগরে কিন্তু তা নয়। এখানে চার দিন ধরেই পুজো হয়। ফলে ভিড় হয় চারদিনই।

চন্দননগর স্টেশন থেকে প্রায় ঢিলছোঁড়া দূরত্বে ফটকগোড়ার পুজো। এই পুজোর থিম তাক লাগিয়ে দিচ্ছে আট থেকে আশি সবাইকে। আন্ডারপাস ব্যবহার করে রেললাইন পেরিয়ে অন্য পাড়ে এলেই ফটকগোড়ার পুজো আপনাকে স্বাগত জানাবে। তাঁদের জগদ্ধাত্রী প্রতিমা মন্দিরের আদলে তৈরি স্থায়ী মণ্ডপেই তৈরি হয়।

চন্দননগর স্টেশন রোড ধরে গঙ্গাপাড়ের স্ট্যান্ডের দিকে খানিক এগোলেই চোখে পড়বে বাগবাজার সর্বজনীন। ১৮৩ বছরের প্রাচীন এই পুজোর মূলমন্ত্রই হল সাবেকিয়ানা। আসলে এই পুজো কমিটি থিমের বিরুদ্ধে, কারণ তাঁদের বিশ্বাস থিমের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে সাবেকিয়ানার জৌলুস।

মাইকে গানের কলি, চারপাশে অগণিত মানুষের ঢল আর রাস্তার দুধার জুড়ে কখনও কখনও অশোকচক্র, কখনও চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা সবার নজর কাড়ছে।

কোথাও চোখ ধাঁধানো মণ্ডপ, আবার কোথাও থিমের বাহারি কারুকার্য। আর প্রত্যেকটি প্রতিমার মৃণ্ময়ী রূপ। চন্দননগরে এই কারুকার্য দেখতেই দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসে বহু মানুষ।

চন্দননগরের আলোকশিল্পীরা প্রত্যেক বছরই জগদ্ধাত্রী পুজোর আলোয় নানান নতুনত্বের চিত্র ফুটিয়ে তোলেন। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সেই আলোর ছটা দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন দেশ-বিদেশের দর্শনার্থীরা। এক কথায়, চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় প্রতিমার পাশাপাশি আলোকসজ্জাও প্রধান আকর্ষণ। বাগবাজার সর্বজনীন, বাগবাজার, বাগবাজার চৌমাথা, মধ্যাঞ্চল সর্বজনীনের পুজোর আলোকসজ্জা এবং ডাকের সাজের প্রতিমা দেখতে পঞ্চমীতেই পথে নেমেছেন দর্শনার্থীরা।

প্রশাসনের সুষ্ঠ ভিড় নিয়ন্ত্রণ, রাত জেগে পরিবার-প্রিয়জনের সঙ্গে ঠাকুর দেখা আর রাতের আলো মেখে ফরাসডাঙ্গার মায়াবিনী হয়ে ওঠা, সব মিলিয়ে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো এবারও তার ঐতিহ্যবাহী জৌলুস বজায় রেখে উৎসব মুখর।

alternatetext
Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *