উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি : দক্ষিণ ২৪ পরগনায় চিংড়ি চাষ এখন এক গভীর সংকটে। একদিকে আমেরিকায় শুল্ক বৃদ্ধির জেরে রফতানি কার্যত বন্ধ, অন্যদিকে স্থানীয় ভেড়িগুলিতে লাগাতার চিংড়ির মড়কে চাষি ও ব্যবসায়ীরা দিশেহারা। লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেও লোকসানের মুখ দেখছেন চাষিরা।
কুলতলির এক চিংড়ি ব্যবসায়ী জানান, চিংড়ির খোসা ছাড়িয়ে বিদেশে পাঠানো হয়, কিন্তু বিদেশে বাজার না থাকায় রফতানি বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে চাষিরা বাধ্য হচ্ছেন অন্য পেশার দিকে ঝুঁকতে। রায়দীঘির এক শ্রমিক নেতা বলেন, “চিংড়ি কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাইয়ের জেরে অনেকেই আবার পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে ফিরে যাচ্ছেন।”
এদিকে, ফিশারিগুলিতে বাগদা ও ভেনামি চিংড়ি মৃত অবস্থায় জলে ভেসে উঠছে। কর্মীদের দাবি, জলের উপরে যতটা চিংড়ি ভাসছে, তার চেয়ে অনেক বেশি চিংড়ি জলের নিচে পচে ডুবে আছে।
আমেরিকা চিংড়ির উপর পঞ্চাশ শতাংশ শুল্ক বসানোর পর থেকেই রফতানি কার্যত অচল। দেশীয় বাজারেও তেমন ক্রেতা নেই, ফলে কম দামে বিক্রির সুযোগও নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে চাহিদা অনুযায়ী জোগান দেওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে।
চাষি ও ব্যবসায়ী — উভয় পক্ষেরই লোকসানের পরিমাণ দ্রুত বাড়ছে। পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান না হলে পুরো চিংড়ি ব্যবসাই ধ্বংসের মুখে পড়তে পারে, কর্মহীন হয়ে পড়বেন বহু মানুষ।










