আসানসোল : রাজ্য সরকারের পরিবহন দফতর ইতিমধ্যেই গোটা বাংলা জুড়ে বেআইনি টোটোর বাড়বাড়ন্ত নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে।
গত ১৩ অক্টোবর থেকে রাজ্য জুড়ে টোটো নিবন্ধিকরণ বা তালিকাভুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। যা অনেকটা নতুন গাড়ি রেজিষ্ট্রেশনের মতো। এর মেয়াদ হবে দু’বছরের। এই কাজ চলবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। এরজন্য একটা পোর্টাল দেওয়া হয়েছে। ই-রিক্সার ক্ষেত্রেও নতুন কিছু নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।
গোটা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার আসানসোলের সার্কিট হাউসে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নাবলমের সভাপতিত্বে আসানসোলে (টোটো ও ই-রিক্সা চলাচল সংক্রান্ত) প্রশাসনিক স্তরে একটি বৈঠক হয়। জেলাশাসক ছাড়াও পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, অতিরিক্ত জেলাশাসক শুভাষীনি ই, আসানসোলের মহকুমাশাসক (সদর) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি ( ট্রাফিক) পিবিজি সতীশ, পুর চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায় ও জেলা আরটিও বা পরিবহন দপ্তরের আধিকারিকরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও এই বৈঠক অনুমোদিত ডিলারদের ডাকা হয়েছিল। বৈঠকের পরে জেলাশাসক ও পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক বলেন, টোটো চলাচল নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্য সরকার কিছু নির্দেশিকা জারি করেছে। এই জেলায়ও সেই নির্দেশিকা অনুসরণ করা হবে।
তিনি বলেন, অনুমোদিত ডিলারদের কাছ থেকে গাড়ি কিনেছেন এমন ই-রিক্সা কিনেছেন, তাদেরকে রাজ্য সরকারের বাহন অ্যাপে গিয়ে নিবন্ধিকরণ করতে হবে। যারা অ্যাসেম্বলড মডেলে টোটো কিনেছেন তাদের
“টিটিইএন” এ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধকরণ করতে হবে। তার মেয়াদ হবে ২ বছরের জন্য। তার মধ্যে তাদের অনুমোদিত ডিলারের কাছ থেকে টোটো কিনতে হবে। এর পাশাপাশি তিনি বৈঠকে থাকা অনুমোদিত ডিলারদের অ্যাসেম্বলড মডেলের টোটো বিক্রি না করার জন্যও অনুরোধ করেন।
জেলাশাসক আরো বলেন, গোটা প্রক্রিয়াটা আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করা হবে। তারপরে কোনও বেআইনী টোটো চলতে দেওয়া হবে না।
বিধায়ক আরো বলেন, এই কাজ শেষ হওয়ার টোটো ও ই-রিক্সার সংখ্যাটা জানা যাবে। তারপরে একটা রুট তৈরি করা হবে। সেই রুটে রেজিষ্ট্রেশন হয়ে যাওয়া টোটো চলবে।










