দুর্গাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডে একের পর এক নতুন তথ্য উঠে আসছে তদন্তে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নির্যাতিতার সহপাঠী বন্ধুকে গ্রেফতার করল পুলিশ। টানা তিন দিন ধরে জেরা করার পর তাঁর বয়ানে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার ধৃতকে দুর্গাপুর আদালতে তোলা হবে। এই নিয়ে মোট ধৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৬।
এর এক ঘণ্টা আগে সাংবাদিক বৈঠক করেন আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার সুনীলকুমার চৌধুরী। তিনি জানান, “প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে, ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত একজন। বাকি চার জনের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত চলছে।”
কমিশনার আরও বলেন, “সহপাঠীর আচরণ অত্যন্ত সন্দেহজনক। তাকে নজরে রাখা হয়েছিল এবং বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। তার পোশাক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।”
এদিন পুলিশ ধৃতদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে রিকনস্ট্রাকশন বা পুনর্নির্মাণ করে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে সংগ্রহ করা হয়েছে একাধিক নমুনা। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে নির্যাতিতার মোবাইল ফোন। সেই সূত্রে নতুন করে বিএনএস-এর আরও কয়েকটি ধারা যোগ করা হয়েছে মামলায়।
তবে পুলিশ কমিশনার জানান, এখনই ফরেনসিক ও মেডিকেল রিপোর্ট হাতে আসেনি। টেকনিক্যাল এভিডেন্স সংগ্রহের কাজও চলছে। রিপোর্ট আসার পরই পরিষ্কার হবে, কে বা কারা এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
অন্যদিকে, নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ ও সিবিআই তদন্তের দাবির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কমিশনার কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, “কলেজ থেকে রাত একটা বেজে আট মিনিটে মৌখিকভাবে খবর দেওয়া হয় থানায়। সিআই ও ওসি সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান। লিখিত অভিযোগ আসে ভোররাত সাড়ে তিনটেয়। এরপরই নিয়ম মেনে এফআইআর করা হয়।”
পুলিশের দাবি, দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত এগোচ্ছে এবং খুব শীঘ্রই গোটা ঘটনার পূর্ণ চিত্র স্পষ্ট হয়ে যাবে।