২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন ভেনেজুয়েলার মারিয়া কোরিনা মাশাদো। ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তাঁর নিরলস ভূমিকার স্বীকৃতি দিল নোবেল কমিটি।
নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “২০২৫ সালে শান্তির জন্য লড়াই করা এক সাহসী নারীকে সম্মান জানানো হলো—যিনি আঁধারের মধ্যেও গণতন্ত্রের আলো জ্বালিয়ে রেখেছিলেন।” কমিটির মতে, মারিয়া কোরিনা মাশাদো শুধু ভেনেজুয়েলাই নয়, গোটা দক্ষিণ আমেরিকার নাগরিক আন্দোলনের প্রেরণার প্রতীক।
দীর্ঘদিন ধরে ভেনেজুয়েলায় মুক্ত ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন মারিয়া। বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের সুরক্ষার প্রশ্নেও তিনি ছিলেন অগ্রণী কণ্ঠ। ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিরোধীদের মুখ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি।
১৯৬৭ সালে জন্মগ্রহণ করা মারিয়া মাচাদো বহু বছর ধরে একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বেই বহু তরুণ-তরুণী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছিল।
নোবেল কমিটির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সাল পর্যন্ত মোট ১০৫ বার ১৪২ জনকে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৯২ জন পুরুষ ও ১৯ জন মহিলা। সবচেয়ে কমবয়সে পুরস্কার পেয়েছিলেন পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাই (১৭ বছর বয়সে, ২০১৪ সালে), আর সবচেয়ে বেশি বয়সে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী জোসেফ রটব্ল্যাট (৮৬ বছর বয়সে, ১৯৯৫ সালে)।
২০২৪ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন জাপানের নিহন হিদানকো, যিনি পরমাণু হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে কাজ করে চলেছেন এবং বিশ্বকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন।