Home / খবর / জেলায় জেলায় / বৃষ্টি আর হয়নি, তিস্তার জল নামতেই ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে জলপাইগুড়ি

বৃষ্টি আর হয়নি, তিস্তার জল নামতেই ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে জলপাইগুড়ি

জলপাইগুড়ি: তিস্তার জলোচ্ছ্বাস অতীত। আকাশে রোদ-মেঘের লুকোচুরি খেলা। বৃষ্টি আর হয়নি শহরে। ধীরে ছন্দে ফিরছে শহর লাগোয়া তিস্তাপারের জনজীবন। জল নামতেই অস্থায়ী শিবির থেকে ঘরে ফিরেছেন অনেকে। ঘরদোর পরিস্কার করে, ভেসে আসা আবর্জনা সাফ করে, সোমবার রাতে কোজাগরি লক্ষ্মী পুজোয় মাতলেন সবাই।

জল নামলেও কাদার সমস্যা রয়েছে তিস্তাপারের বিবেকানন্দ পল্লিতে। যাতায়াত করতে বিপাকে পড়ছেন একাংশ বাসিন্দা। পঞ্চায়েত সদস্য গোবিন্দ বাড়ুই বলেন, “এই দু’দিন টানা নজরদারি করেছি। যা গেল বলার নয়।” এই বিবেকানন্দ পল্লিতেই তিস্তার বাঁধের কয়েক জায়গায় ফাটল দেখা দেওয়ায় রবিবার আতঙ্ক ছড়ায়। খবর পেয়ে পুরসভার উপ পুরপ্রধান সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মীরা মেরামতির কাজ করেন৷ হাত লাগান স্থানীয়েরাও। পরে, সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা ঘটনাস্থলে এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। তিস্তার জলে ক্ষতি হয়েছে দক্ষিণ সুকান্ত নগর কলোনিতেও।

সোমবার দুপুর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে থাকে। প্রায় ২৪ ঘন্টা বাদে বিদ্যুৎ পরিষেবাও স্বাভাবিক হয়। স্থানীয়রা বাড়ি ও লাগোয়া এলাকা থেকে তিসৃতার বয়ে আনা আবর্জনা সাফ করে পুজোর আয়োজন শুরু করেন। স্থানীয় বিভু রায়, পিঙ্কি রায়, বাবলি দাসেরা জানান, সোমবার রাতেই ছট আয়োজন করে পুরোহিত ডেকে কোজাগরি পুজো করেছেন তারা।” পঞ্চায়েত সদস্য মহাদেব রায় বলেন, “আমার এলাকার কিছু রাস্তায় ক্ষতি হয়েছে৷ এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। পাহাড়ে ভারি বৃষ্টি না হলে আশঙ্কার কিছু নেই।” সারদাপল্লি এলাকার বাসিন্দা দিলীপ মণ্ডল বলেন, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও চাষাবাদ নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন এলাকার কৃষিজীবীরা।”

খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান মনোজ ঘোষ বলেন, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আমরা নজর রাখছি। সোমবার রাতেও তিস্তাপারের বিভিন্ন এলাকায় শুকনো ও রান্না করা খাবার বিলি করা হয়েছে। আজও ওই এলাকা ঘুরে দেখব।”

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *