কোলফিল্ড টাইমস: আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতে শুক্রবার থেকে শুরু হল বহুচর্চিত নিয়োগ মামলার বিচারপ্রক্রিয়া। প্রথম দিনের শুনানিতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাজির ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে, চোখে কালো চশমা পরে তিনি অংশ নেন শুনানিতে। ভার্চুয়ালি হাজির ছিলেন অশোক সাহা, এসপি সিংহ এবং প্রসন্ন রায়ও।
বিচারক বিশ্বরূপ শেঠের এজলাসে এদিন সাক্ষ্য দেন এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান, যিনি ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই তিনি চেয়ারম্যান পদে যোগ দিয়েছিলেন। তবে বেআইনি নিয়োগের চাপ আসতে থাকায় ২০১৩ সালে পদত্যাগ করেন। প্রাক্তন চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, মুকুল রায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁকে নানা ভাবে চাপে ফেলেছিলেন।
পার্থের আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামীর বক্তব্য, সাক্ষী রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত, কারণ তিনি ২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগ দেন এবং ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে দলের ইস্তাহার তৈরির কাজেও যুক্ত ছিলেন। বিপ্লবের অভিযোগ, সাক্ষী মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছেন। যদিও সাক্ষী স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেন।
সঞ্জয় দাশগুপ্ত, বিবাদীপক্ষের আরেক আইনজীবী, জানতে চান কেন ‘দ্বাদশ আরএলএসটি’ পরীক্ষার পর কোনও অভিযোগ ওঠেনি। উত্তরে প্রাক্তন চেয়ারম্যান জানান, কোনও অভিযোগ ছিল না। তখন সঞ্জয়ের পাল্টা দাবি, ‘‘আপনি সিবিআইয়ের চাপে এই কথা বলছেন।’’, তবে সাক্ষী বলেন, ‘‘একেবারেই না।’’
শনিবারও চলবে বিচারপ্রক্রিয়া। সেদিন সাক্ষ্য দিতে পারেন এসএসসির আর এক প্রাক্তন আধিকারিক। আগামী সোমবার নির্ধারিত রয়েছে পরবর্তী শুনানি। মামলায় মোট আটজন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়ার কথা, যার মধ্যে রয়েছেন এসএসসির আরও এক প্রাক্তন চেয়ারম্যান, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও এসএসসির কয়েকজন আধিকারিক।