চিত্তরঞ্জন: বিশ্বকর্মা পুজোয় সিএলডব্লু-র ডব্লুএস বিভাগের সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত এ বার বিশেষ ভাবনার পরিচয় দিলেন।
এ বার এখানে বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে নির্দিষ্ট কিছু মানুষকে নিমন্ত্রণ না করে এই পুজো সকলের জন্যই বলে মনে করায় নিমন্ত্রণপত্র ছাপা হয়নি। কার্যালয়ের সামনের প্রাঙ্গণে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয় এরিকা পাম, টিকোনা, আলটিমেন্থেরা, ফিকাস মেনজামানসিস সহ বিভিন্ন গাছের চারা রোপণ করে, পুজো উপলক্ষে আলোকমালায় সুসজ্জিতও করা হয়েছে।
বর্তমানে স্থায়ী কর্মীর সাথে চুক্তি ভিত্তিক কর্মীরাও এখানে বিভিন্ন ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন। সকলকে সমভাবে আপ্যায়ন করার মধ্য দিয়ে এই পুজোর সাফল্য মনে করেন দফতরের এসএসই ।
বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য, এখানে ফোয়ারার জন্য জলের যে আধারটি আছে, সেখানে মাছের ছোট ছোট চারা ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই গুলো বেশ বড় হয়েছে এবং তেলাপিয়া মাছের থেকে যে চারাপোনা হয়, সেগুলো খেয়ে বেশ বেঁচে আছে ও বংশ বিস্তার করছে এই জলের মধ্যেই থাকা কচ্ছপগুলো। পুরো বাস্তুতন্ত্রের চিত্র। এখানে একসময় পরিষ্কার করার কাজ করতে গিয়ে তিনটি কচ্ছপ পাওয়া গিয়েছিল। সেগুলো ওই ফোয়ারার জলে এখন দিব্যি জীবন যাপন করছে।
ইন্দ্রনীলবাবুর এই ভাবে পুজোর পরিকল্পনা ও সৌন্দর্যায়নের জন্য দফতরের সব কাজ সামলেও এই কাজ করেন। দফতরের বাইরে দেওয়ালে বিভিন্ন ধরনের ছবি ও লেখার মধ্যে দিয়ে পরিবেশ সচেতনতা ও কর্মপরায়নতার প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়। রমেশ যাদব, জয়ন্ত মালাকার, ইন্দ্রনীল বর্ধন, বিনোদ বিশ্বকর্মা ,সমিত রায় সহ সকলের অংশগ্রহণে এইবছর বিশ্বকর্মা পুজো সম্পন্ন হয়।