উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,কুলতলি : সুন্দরবনের কুলতলিতে পড়ুয়া থাকলে ও শিক্ষকদের অনুপস্থিতিতে সমস্যায় পড়ুয়ারা। সুন্দরবনের প্রান্তিক এলাকার একমাত্র বালিকা বিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকারে।খাতায় কলমে শিক্ষক শিক্ষিকাদের নাম থাকলে ও প্রতিনিয়ত স্কুলে আসছে হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষক। আর এর ফলে সুন্দরবনের প্রান্তিক এই এলাকার ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অথৈ জলে।
খাতায়-কলমে বলছে এই বালিকা বিদ্যালয়ে শিক্ষক শিক্ষিকাদের সংখ্যা ১৩ জন কিন্তু শিক্ষক শিক্ষিকারা গড় হাজির প্রতিদিন।এর ফলে এই বালিকা বিদ্যালয়ের বালিকাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
কুলতলি ব্লকের করুণাময়ী বালিকা বিদ্যালয় এমনই চিত্র ফুটে উঠেছে।এই বালিকা বিদ্যালয়ে পার্মানেন্ট শিক্ষকের সংখ্যা 8 জন,প্যারা টিচার রয়েছে তিনজন,কম্পিউটার প্রশিক্ষক রয়েছে একজন। কিন্তু তালিকা থাকলেও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপস্থিতি চোখে পড়ে না। এর ফলে ধীরে ধীরে কমছে ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা।
এ বিষয়ে সামনে আসায় দুশ্চিন্তার ভাজ পড়েছে এলাকাবাসীদের মধ্যে।আর এই খবর সামনে আসায় ওই বালিকা বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে যান কুলতলি দক্ষিণ চক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শক মোজাম্মেল হক এবং কুলতলি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রুপা সরদার এবং একাধিক আধিকারিকেরা সহ জনপ্রতিনিধিরা।
এ বিষয়ে কুলতলি দক্ষিণ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক মোজাম্মেল হক বলেন,অভিভাবকদের অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা এই বিদ্যালয়ের পরিদর্শন করতে আসি।এই বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করতে এসে দেখি,শুধুমাত্র একজন শিক্ষিকা এসেছে এবং বাকি শিক্ষক-শিক্ষিকারা অনুপস্থিত। আমরা এই বিষয়ে সম্পূর্ণ রিপোর্ট আকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিচ্ছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুততার সঙ্গে এই সমস্যার নিষ্পত্তিক ঘটাবে আশা করি।
এ বিষয়ে এক ছাত্রী মহুয়া মাইতি বলেন,আমি দশম শ্রেণীতে পড়ি আমাদের স্কুলের সরকারি কোন শিক্ষিকা আসেন না।এর ফলে পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। আমরা চাই কুলতলি ব্লকের একমাত্র বালিকা বিদ্যালয়ে পঠন পাঠন সঠিকভাবে করা হোক। শিক্ষিকারা নিয়মিত স্কুলে এলে পঠন-পাঠন আমাদের আরও ভালো হবে।
এ বিষয়ে এক ছাত্রীর অভিভাবক মমতা জানা বলেন, কয়েক বছর আগে এই স্কুল ভালো ভাবেই চলছিল কিন্তু প্রধান শিক্ষিকার পরিবর্তন হওয়ার পর থেকে স্কুলে আর তেমন ভাবে আসেন না অন্য শিক্ষিকারা। আমরা চাই এই স্কুলের পড়াশোনা আগের মতো ভালভাবেই হোক।
কী হবে স্কুলের ভবিষ্যৎ, তা নিয়ে স্কুলের পরিচালন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে জনপ্রতিনিধির বৈঠক হয়েছে। তবে এব্যাপারে পরিচালন কমিটির তরফে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।