Home / খবর / বিশ্ব / নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত সুশীলা কার্কি, দ্রুত নাম ঘোষণা করতে পারে সেনা

নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত সুশীলা কার্কি, দ্রুত নাম ঘোষণা করতে পারে সেনা

Sushila-Karki

নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের জন্য নাম প্রস্তাব করা হয়েছে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির। বৃহস্পতিবার তিনি জানিয়েছেন, দেশের স্বার্থে কাজ করার জন্য তিনি প্রস্তুত। ৭১ বছর বয়সী কার্কি বলেন, “জেন-জি আন্দোলনের তরুণেরা আমাকে স্বল্প সময়ের জন্য সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দিতে চেয়েছেন। তাঁদের আস্থা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি দেশের স্বার্থে কাজ করতে রাজি আছি।”

সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেন-জি প্রতিনিধি দল অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব নিয়ে সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। তার আগে আন্দোলনকারীদের মধ্যে ঐকমত্য গড়ে তোলা হবে এবং তারপর সেনাপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা করে তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।

রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপট

প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করার পর নেপালে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব দেওয়ার অন্যতম সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছে সুশীলা কার্কির নাম। রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা একটি শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের লক্ষ্যে ঐকমত্য খুঁজছে।

জেন-জি আন্দোলন

সম্প্রতি নেপালে তরুণদের নেতৃত্বে শুরু হয়েছে ব্যাপক গণআন্দোলন। মূলত ছাত্র-যুবকেরা সরকারের কাছে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা দাবি করছে। আন্দোলন শুরু হয় ২০২৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, যখন সরকার কর রাজস্ব ও সাইবার নিরাপত্তার অজুহাতে একাধিক সামাজিক মাধ্যম বন্ধ করে দেয়।

এই সিদ্ধান্তের পর কাঠমান্ডু, পোখরা, বুটওয়াল ও বিরগঞ্জসহ বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জন নিহত ও ৫০০ জন আহত হন। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে একাধিক শহরে কারফিউ জারি করা হয়।

সুশীলা কার্কি সম্পর্কে কিছু তথ্য

সুশীলা কার্কি নেপালের ইতিহাসে প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি। তিনি জুলাই ২০১৬ থেকে জুন ২০১৭ পর্যন্ত এই পদে ছিলেন।
তিনি ১৯৫২ সালের ৭ জুন বিরাটনগরে জন্মগ্রহণ করেন এবং সাত ভাইবোনের মধ্যে সবার বড়। ১৯৭৯ সালে আইনের পড়াশোনা শেষ করে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০৭ সালে তিনি সিনিয়র অ্যাডভোকেট হন। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্টের অস্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান এবং ২০১০ সালে স্থায়ী বিচারপতি হন।

নেপালের এই অস্থির সময়ে দেশের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতিকে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে আনার প্রস্তাব বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *