কুলটি ও আসানসোল : পুরকর্মী খুনের ঘটনায় আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির বড়সড় সাফল্য। সৈয়দ জাভেদ বারিকে গুলি করার ঘটনায় পাকড়াও আরও চারজন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হল।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ আগষ্ট রাতে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ি অন্তর্গত নিয়ামতপুরের রহমান পাড়ায় একটি শুট আউটের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় রহমান পাড়ার বাসিন্দা আসানসোল পুরনিগমের কুলটি বোরো অফিসের পুর কর্মী সৈয়দ জাভেদ বারির মাথায় খুব কাছ থেকে অর্থাৎ পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে মোটরবাইকে আসা দুই দুষ্কৃতি। পরে গুলিবিদ্ধ পুর কর্মীকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুরো ঘটনা রাস্তার মোড়ে লাগানো সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়ে। সে ফুটেজ খতিয়ে দেখে এবং মৃতের স্ত্রী”র অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৩০ আগস্ট জাভেদ বারি’র খুড়তুতো ভাই ইন্তেখাব আলমকে গ্রেফতার করে কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ি পুলিশ।
এরপর ঘটনার তদন্তে নেমে নিয়ামতপুর ফাঁড়ি পুলিশের হাতে আসে বড় সাফল্য আসে। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত বা মাস্টার মাইন্ড ফারহা নাজ এবং তার গাড়ির চালক সৈয়দ সাজিদ আখতার ওরফে ফাইজলকে গত ২ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ি থেকে গ্রেফতার করে নিয়ামতপুর ফাঁড়ি পুলিশ। ফারহা নাজ মৃত জাভেদ বারির সম্পর্কে খুড়তুতো বোন। ধৃত ফারহা নাজকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আরও জানতে পারে এই ঘটনায় সুপারি কিলার বা সার্প শুটারদের একটা গ্যাংকে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে জাভেদ বারিকে গুলি করে মারার ছক করা হয়।
এরপর ঘটনার তদন্তে আজ সোমবার ভোর রাতে আসানসোল উত্তর থানার রেলপারে অভিযান চালিয়ে এই ঘটনায় সুপারি কিলার গ্যাংয়ের চারজনকে গ্রেফতার করে নিয়ামতপুর ফাঁড়ি পুলিশ। ধৃতদেরকে নাম হল মহঃ ফায়জল শাহ, মহম্মদ আদিল আলম, মহম্মদ সুলতান ও মহম্মদ এহসান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতদের মধ্যে মহঃ আদিল আলম হল জাভেদ বারি খুন কাণ্ডে মেন শুটার। সোমবার সকালে ধৃত ৪ জনকে আসানসোল জেলা আদালতে পাঠানো হয়।
এই ঘটনার আরো তদন্তে বিচারকের কাছে ১০ দিনের হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ি পুলিশ।