ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ভারত প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান বদলালেন। কয়েক ঘণ্টা আগেই তিনি দাবি করেছিলেন যে, ভারত ও রাশিয়াকে চিনের কাছে হারিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরেই তিনি বলেন, ভারত এখনও রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ তেল কিনছে বলে তিনি খুবই হতাশ, আর সেই কারণেই তাঁর প্রশাসন ভারতের উপর বড় অঙ্কের শুল্ক আরোপ করেছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, “আমি মনে করি না যে আমরা ভারতকে হারিয়েছি। আমি কেবল হতাশ হয়েছি, কারণ ভারত রাশিয়া থেকে এত তেল কিনছে। আমি সেটা ওদের জানিয়ে দিয়েছি। আর আমরা ভারতের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছি, খুবই বড় শুল্ক।”
তবে সমালোচনার মাঝেও ট্রাম্প নিজের ব্যক্তিগত সম্পর্কের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, “মোদীর সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভালো। উনি দারুণ একজন নেতা। কয়েক মাস আগেই উনি এখানে এসেছিলেন। আমাদের সব সময় ভালো সম্পর্ক থাকবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “ভারত ও আমেরিকার সম্পর্ক বিশেষ ধরনের। কিছু মতবিরোধ থাকলেও আমাদের বন্ধুত্ব অটুট। মোদির সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব সব সময় থাকবে। শুধু এই মুহূর্তে উনি যা করছেন তা আমার ভালো লাগছে না। তবে উদ্বেগের কিছু নেই। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক সব সময় শক্তিশালী থাকবে।”
ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক আলোচনাতেও তিনি আশাবাদী বলে জানান। ট্রাম্প বলেন, “সব আলোচনাই ভালো চলছে। ভারতসহ যেসব দেশের সঙ্গে এখনও সমঝোতা হয়নি, সেখানেও আমরা ভালো অগ্রগতি করছি।”
এই মন্তব্যগুলি আসে কিছুক্ষণ পরই, যখন ট্রাম্প নিজের ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি ছবি শেয়ার করেন। সেখানে তাঁকে দেখা যায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তিয়ানজিনে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন সম্মেলনে। তখনই ট্রাম্প মন্তব্য করেছিলেন যে ভারত ও রাশিয়াকে “চিনের অন্ধকারের কাছে” হারিয়েছে আমেরিকা।
তিয়ানজিন সম্মেলনে মোদী, পুতিন ও জিনপিংয়ের সৌহার্দ্যকে অনেকেই নতুন বিশ্বব্যবস্থার ইঙ্গিত বলে মনে করছেন। তবে ভারতের তরফে ট্রাম্পের মন্তব্য নিয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।