কোলফিল্ড টাইমস: ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেশে সমালোচনার মুখে পড়ে ফের চেনা ভঙ্গিতে প্রতিক্রিয়া দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অতীতের বাণিজ্য সম্পর্ককে তিনি আখ্যা দিলেন “একতরফা বিপর্যয়” হিসেবে। ট্রাম্প এই মন্তব্য করেছিলেন এমন সময়ে, যখন সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনে চিনের তিয়ানজিনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে।
ট্রাম্প ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ পোস্ট করে বলেন, “খুব কম মানুষ জানে যে আমরা ভারতের সঙ্গে খুব সামান্য ব্যবসা করি, অথচ তারা আমাদের কাছে বিপুল পরিমাণে পণ্য বিক্রি করে। আমরা তাদের সবচেয়ে বড় ‘গ্রাহক’, কিন্তু তারা আমাদের কাছ থেকে খুব সামান্য কেনে। এই সম্পর্ক বহু দশক ধরে একেবারে একতরফা।”
তিনি আরও দাবি করেন, ভারতের অতিরিক্ত শুল্কই আমেরিকার ব্যবসাগুলিকে ভারতীয় বাজারে প্রবেশে বাধা দিয়েছে। ট্রাম্প বলেন, “ভারত এতদিন আমেরিকার উপর সর্বাধিক হারে শুল্ক আরোপ করেছে, ফলে আমাদের ব্যবসাগুলি ভারতে বিক্রি করতে পারেনি। এটি সম্পূর্ণ একতরফা বিপর্যয়।”
ট্রাম্প আরও উল্লেখ করেন, ভারত তাদের তেল ও সামরিক পণ্যের বেশিরভাগই রাশিয়া থেকে কিনে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে খুব সামান্যই নেয়। তবে তিনি জানান, ভারত এখন শুল্ক শূন্যে নামাতে রাজি হয়েছে, কিন্তু তা “অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে” বলেই মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের উপর ২৫ শতাংশ শাস্তিমূলকমূলক শুল্ক এবং রাশিয়ার তেল আমদানির কারণে আরও ২৫ শতাংশ কর বসিয়েছে। ফলে ভারতের উপর মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ, যা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সর্বোচ্চ।
ভারত এই শুল্ককে “অন্যায্য ও অযৌক্তিক” বলে দাবি করেছে। নয়াদিল্লির বক্তব্য, বড় অর্থনীতি হিসেবে জাতীয় স্বার্থ ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা রক্ষায় তারা সবরকম পদক্ষেপ নেবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কৃষক, পশুপালক এবং ক্ষুদ্র শিল্পের স্বার্থে তিনি কোনওভাবেই আপস করবেন না। মোদী বলেন, “আমাদের উপর চাপ বাড়তে পারে, কিন্তু আমরা তা বহন করব।”