মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বছর পরে ভারতে আসার পরিকল্পনা বাতিল করেছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি রিপোর্টে এই দাবি করা হয়েছে। জানা গেছে, ট্রাম্প আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জানিয়েছিলেন যে তিনি শরৎকালে ভারত সফরে আসবেন, কিন্তু এখন আর সেই পরিকল্পনা নেই।
ভারত সরকার বা মার্কিন প্রশাসন— কারও পক্ষ থেকেই এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। উল্লেখযোগ্যভাবে, এ বছর ভারতই কোয়াড সম্মেলনের আয়োজক।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, চলমান বাণিজ্যিক টানাপোড়েন এবং বিশেষত ট্রাম্পের বিতর্কিত দাবি— যে তিনি নাকি মে মাসে ভারত-পাকিস্তানের চার দিনের সামরিক সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছিলেন— এই কারণেই মোদী-ট্রাম্প সম্পর্কের অবনতি শুরু হয়। ভারত এই দাবি বারবার অস্বীকার করেছে।
জুনের ১৭ তারিখ জি৭ সম্মেলনের পর ফেরার পথে বিমানে বসেই ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর ৩৫ মিনিট ফোনে কথা হয়। সেখানে মোদী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতির ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল না। এটি সম্পূর্ণভাবে ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের বিদ্যমান চ্যানেলের মাধ্যমেই সম্পন্ন হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, ওই আলোচনায় ট্রাম্প দাবি করেছিলেন পাকিস্তান না কি তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করতে চাইছে। সূত্রের দাবি, ট্রাম্প আশা করেছিলেন মোদীও তাঁর জন্য একই পদক্ষেপ নেবেন। কিন্তু মোদী তাতে রাজি হননি এবং দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দেন, ভারত কখনও পাকিস্তান প্রসঙ্গে বাইরের কারও মধ্যস্থতা মেনে নেবে না।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ট্রাম্পের এই নোবেল পুরস্কার-সংক্রান্ত দাবির পাশাপাশি, রাশিয়ান তেল কেনার জন্য ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টান তৈরি করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ছিল ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি করার একটি কৌশল, নীতিগত সিদ্ধান্ত নয়।
সব মিলিয়ে, একসময়ের ঘনিষ্ঠ মোদী-ট্রাম্প সম্পর্ক এখন কার্যত ভেঙে পড়েছে বলে রিপোর্টে মন্তব্য করা হয়েছে।