টানা ৭২ ঘণ্টার বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যা ও ধসের জেরে বিপর্যস্ত জম্মু–কাশ্মীর। তাওয়াই ও চন্দ্রভাগার মতো নদী বিপদসীমার বহু উপর দিয়ে বইছে। মঙ্গলবার বৈষ্ণোদেবী মন্দিরের পথে ভূমিধসে অন্তত ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যত্র আরও চারজনের দেহ উদ্ধার হয়। একদিনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০-এ। আহত ও নিখোঁজ অনেকে।
ধস নামায় বৈষ্ণোদেবীর যাত্রা আপাতত স্থগিত রেখেছে প্রশাসন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক সহ একাধিক রাস্তা ও সেতু। রামবান, ডোডা, উধমপুর-সহ বিভিন্ন জেলায় যান চলাচল বন্ধ। সেনা উদ্ধারকাজে নেমেছে, তবে লাগাতার বৃষ্টির কারণে কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
পরিস্থিতির জেরে রেলও ১৮টি ট্রেন বাতিল করেছে, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি কাটরা থেকে ছাড়ার কথা ছিল। চাক্কি নদীর তীর ভেঙে ট্র্যাক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় রেল যোগাযোগও ব্যাহত।
জম্মু–কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি এলাকায় পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। ইতিমধ্যেই জরুরি বৈঠক ডেকে পরিস্থিতি মোকাবিলার নির্দেশ দিয়েছেন।