কসবা আইন কলেজে ছাত্রী গণধর্ষণের ঘটনায় বড় পদক্ষেপ নিল পুলিশ। ঘটনার ৫৮ দিনের মাথায় শনিবার আলিপুর আদালতে ৬৫০ পাতার চার্জশিট জমা দিল তারা। তাতে মূল অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে প্রাক্তন ছাত্রনেতা মনোজিৎ মিশ্র-সহ চারজনের। অভিযোগপত্রে গণধর্ষণ, প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি এবং তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চার্জশিটে মনোজিৎ মিশ্র ছাড়াও প্রমিত মুখোপাধ্যায়, জেব আহমেদ এবং কলেজের নিরাপত্তারক্ষী পিনাকি বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম রয়েছে। এতে ৮০ জন সাক্ষীর জবানবন্দি, ডিএনএ ও ফরেনসিক রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, জুন মাসের শুরুতে এক ছাত্রী অভিযোগ করেছিলেন, কলেজ চত্বরে তাঁকে গণধর্ষণ করে অভিযুক্তরা এবং সেই দৃশ্য ভিডিও করে ব্ল্যাকমেল করা হয়। এরপর থেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অভিযোগের আঙুল ওঠে শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের দিকে। তবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ জানায়, মনোজিৎ মিশ্র প্রাক্তন ছাত্র এবং তাঁকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে।
চার্জশিট পেশ হওয়ায় খানিকটা স্বস্তি নির্যাতিতা ছাত্রী ও তাঁর পরিবার। তবে ‘অপরাজিতা বিল’-এ রাজ্যপালের সই না হওয়ায় এখনও তা কার্যকর হয়নি। আইন সংশোধন হলে এ ধরনের অপরাধে আরও দ্রুত ও কঠোর শাস্তি হবে বলেই আশা সাধারণ মানুষের।