রানিগঞ্জ ও আসানসোল: কুয়ো থেকে উদ্ধার হল রাতে বাড়ি থেকে খাবার খেয়ে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এক যুবকের মৃতদেহ। বৃহস্পতিবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে আসানসোলের রানিগঞ্জ থানার ধোবী মহল্লায়। মৃত যুবকের নাম আফ্রিদি খান (২৬)। এদিন দুপুরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে যুবকের মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রানিগঞ্জ থানার ধোবী মহল্লার বাসিন্দা পেশায় গাড়ি চালক আফ্রিদি খান বুধবার রাত সাড়ে নটা/দশটা নাগাদ খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বেরোয়। তারপর সে বাড়ি না ফিরে আসায় পরিবারের সদস্যরা তার খোঁজ শুরু করেন। কিন্তু তার কোন খোঁজ পাওয়া যায় নি। রাত দুটো পর্যন্ত বাড়ির লোকেরা তার মোবাইলে ফোন করেন। কিন্তু আফ্রিদি ফোন তোলেনি। বাড়ির লোকেরা ভাবেন, কোথাও সে আছে, পরে চলে আসবে। এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে ধোবী মহল্লার অদূরে সাহেবগঞ্জে একটি মাঠে পাশে কুয়োর পাড়ে এলাকার বাসিন্দারা একটি মোবাইল ফোন ও একজোড়া চটি পড়ে থাকতে দেখেন। তারা খোঁজ করে দেখেন, আশপাশে কেউ আছে কি না। কিন্তু তারা কাউকে দেখতে পাননি। এদিকে আফ্রিদির বাড়ির লোকেরা তার খোঁজ করতে বেরিয়ে সাহেবগঞ্জে এসে মোবাইল ফোন ও চটির কথা জানতে পারেন। তারা সেখানে এসে পৌঁছান। সেই মোবাইল ফোন ও একজোড়া চটি দেখে বুঝতে পারেন যে, সেগুলো আফ্রিদির। এরপরে এলাকার বাসিন্দারা কুয়োর জলে কাঁটা ফেলেন। তখন সেই কাঁটায় কিছু একটা আটকায় কুয়োর জলের মধ্যে। এরপর রানিগঞ্জ থানায় খবর দেওয়া হলে, এলাকায় পুলিশ আসে। বেশ কিছুক্ষনের চেষ্টায় কুয়ো থেকে উদ্ধার করা হয় আফ্রিদির মৃতদেহ। স্বাভাবিক ভাবেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। যুবকের পরিবারের সদস্যরা শোকে ভেঙে পড়েন।
মৃত যুবকের ভাই আজমল খান বলেন, বুঝে উঠতে পারছি না, যে এই ঘটনা কি করে হলো। বুধবার রাতে আফ্রিদি খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বেরোয়। বলতে গেলে আমরা সারারাত ওকে খুঁজেছি। মোবাইলে ফোন করেছি। কিন্তু পাইনি।
এদিকে, পুলিশ জানায়, মৃতদেহর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তার রিপোর্ট পেলে জানা যাবে, ঠিক কি কারণে ঐ যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আপাততঃ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।










